Mukesh Ambani: অ্যান্টিলিয়ার জন্য অম্বানিকে মাসে কত টাকার বিদ্যুতের বিল দিতে হয় জানেন?

Mukesh Ambani: বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে বলে, অনেক মধ্যবিত্তই চিন্তায় রয়েছেন। কিন্তু, কোনও মধ্যবিত্ত বাড়িতে মাসে কত বিল আসতে পারে? কলকাতায় কোনও মধ্যবিত্ত বাড়িতে বিদ্যুতের বিল আসে ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে। খুব বেশি বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি চালানো হলে, বিল বড় জোর ৬০০০-৭০০০ টাকা হতে পারে। কিন্তু, মুকেশ অম্বানি, নীতা অম্বানিদের অ্যান্টিলিয়াকে মাসে কত টাকা বিদ্যুতের বিল দিতে হয় জানেন?

Mukesh Ambani: অ্যান্টিলিয়ার জন্য অম্বানিকে মাসে কত টাকার বিদ্যুতের বিল দিতে হয় জানেন?
শুধুমাত্র অ্যান্টিলিয়ার যত বিদ্যুৎ লাগে, তা মুম্বইয়ের প্রায় ৭,০০০ মধ্যবিত্তর বাড়িতে বিদ্যুতের খরচের সমানImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Aug 03, 2024 | 4:45 PM

মুম্বই: বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে বলে, অনেক মধ্যবিত্তই চিন্তায় রয়েছেন। গরম, আদ্রতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এয়ার কন্ডিশনার, বৈদ্যুতিন পাখা না চালিয়ে থাকার উপায় নেই। কিন্তু তাতে আবার চাপ পড়ছে পকেটে। কিন্তু, কোনও মধ্যবিত্ত বাড়িতে মাসে কত বিল আসতে পারে? কলকাতায় কোনও মধ্যবিত্ত বাড়িতে বিদ্যুতের বিল আসে ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে। খুব বেশি বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি চালানো হলে, বিল বড় জোর ৬০০০-৭০০০ টাকা হতে পারে। কিন্তু, মুকেশ অম্বানি, নীতা অম্বানিদের অ্যান্টিলিয়াকে মাসে কত টাকা বিদ্যুতের বিল দিতে হয় জানেন? শোনা যায়, শুধুমাত্র অ্যান্টিলিয়ার যত বিদ্যুৎ লাগে, তা মুম্বইয়ের প্রায় ৭,০০০ মধ্যবিত্তর বাড়িতে বিদ্যুতের খরচের সমান।

মুম্বই শহরের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত, এই ২৭ তলার প্রাসাদ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই প্রাসাদেই থাকেন রিলায়েন্স সাম্রাজ্যের মালিক, মুকেশ অম্বানি এবং তাঁর পরিবার। ২৭ তলা ভবনে রয়েছে ৩টি হেলিপ্যাড, ১৬৮টি গাড়ি রাখার মতো পার্কিং স্পেস, একটি সুইমিং পুল, একটি স্পা, একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র, একটি মন্দির, একটি টেরাস গার্ডেন, বিশাল আকারের লিফট, একটি সিনেমা হল পর্যন্ত। আর এই সব কিছু যাতে ঠিক ভাবে চলে, তার জন্য অ্যান্টিলিয়ায় রয়েছে ৬০০ কর্মীর এক বিশাল বাহিনী। বেতনও ভাল পান তাঁরা। শোনা যায়, তাঁদের বেতন প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা।

আসলে অ্যান্টিলিয়ার নকশাটাই অভিনব। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে রিখটার স্কেলে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলেও, ভবনটির কিছু হবে না। ২০০৬ সালে এই ভবনের নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালে সম্পূর্ণ হয়েছে। এর পিছনে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা। বলা হয়, মানুষ যে যে সুযোগ সুবিধা কল্পনা করতে পারে, তার সবই রয়েছে অ্যান্টিলিয়াতে। ১,১২০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত, অ্যান্টিলিয়ার ভিতরে পদ্ম এবং সূর্যের মোটিফ দিয়ে নকশা করা হয়েছে। ভবনটির প্রতিটি তলে ভিন্ন ভিন্ন নকশা ব্যবহার করা হয়েছে।

আর এই সকল বিলাস বহুল সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখতে প্রয়োজন হয় হাই-টেনশন বৈদ্যুতিক সংযোগের। যে ধরনের সংযোগ বিদ্যুতকেন্দ্রগুলিতে দেখা যায়। তাই, অ্যান্টিলিয়ার বিদ্যুতের খরচও বিপুল। অ্যান্টিলিয়ায় প্রতি মাসে কত টাকার বিল আসে? একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্টিলিয়ায় প্রচতি মাসে প্রায় ৬,৩৭,২৪০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। অর্থাৎ, মাসে মাসে অ্যান্টিলিয়াকে গড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বিদ্যুতের বিল দিতে হয়। কখনও কখনও বিলের পরিমাণ আরও বেশি হয়।