Social science studies: সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে স্নাতক? আপনার জন্য সেরা কেরিয়ার অপশন গুলি দেখে নিন
successful career: এতে কোনও পড়ুয়ার লক্ষ্য পূরণ হওয়া অনেকটাই সহজ হবে। বর্তমান সময়ে কলাবিভাগ ও সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনো অনেকগুলি কেরিয়ার অপশন খুলে দিয়েছে।
কলকাতা: সফল হওয়ার ইচ্ছে থাকলে আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করছেন, সেই বিষয়গুলিতে কী কী কেরিয়ার বিকল্প রয়েছে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রয়োজন রয়েছে। এতে কোনও পড়ুয়ার লক্ষ্য পূরণ হওয়া অনেকটাই সহজ হবে। বর্তমান সময়ে কলাবিভাগ ও সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনো অনেকগুলি কেরিয়ার অপশন খুলে দিয়েছে। অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পাবলিক পলিসি বা সাইকোলজির মতো সোশ্যাল সায়েন্সের বিষয় নিয়ে যাঁরা স্নাতক পাস করেছেন, তাদের সামনে বেশ কিছু কেরিয়ার অপশন রয়েছে। এক নজরে সেই গুলি দেখে নেওয়া যাক…
অর্থনীতিবিদ
অর্থনীতিবিদরা সাধারণত প্রয়োজন ও বণ্টনের তথ্যের ওপর কাজ করে থাকেন। তারা করের হার, ব্যবসায়িক চক্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য এবং শক্তি পরিসংখ্যান এবং পরিবহনের চারপাশে পরিমাণগত এবং গুণগত গবেষণা করে থাকেন। এর পাশাপাশি সরকার ও রাজনীতিবিদের বিভিন্ন আর্থিক পরামর্শ দেওয়া অর্থনীতিবিদদের কাজের মধ্যে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্থা মোটা বেতন দিয়ে অর্থনীতিলবিদদের নিয়োগ করে।
পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্ট
পলিটিক্যাল সায়েন্স বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করা ছাত্রছাত্রীরা এই ক্ষেত্রে নিজের কেরিয়ার তৈর করতে পারেন। রাজনৈতিক প্রবণতা, নীতি এবং ধারণা বিশ্লেষণ করতে পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্টরা রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল বা সরকারকে সাহায্য করতে পারেন। এর পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির ওপর গবেষণা করে তারা রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রবণতা যাচাইয়ের কাজও করে থাকেন। সাধারণত পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্টরা সরকারি দফতর, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করেন।
সাইকোলজিস্ট
সাইকোলজি নিয়ে যাঁরা পড়াশুনো করেছেন এবং মানুষের ব্যবহার নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য সাইকোলজিস্টের পেশা অন্যতম সেরা কেরিয়ার অপশন। সাইকোলজিস্ট হয়ে ব্যক্তিগতভাবে প্র্যাকটিস করার পাশাপাশি কোনও সংস্থার হয়েও তারা কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এখন কর্মীদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য সাইকোলজিস্টদের নিয়োগ করে থাকে।
আর্বান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানার
দেশে নগরায়ন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সরকারের স্মার্ট সিটি মিশন সেই কাজে আরও গতি এনেছে। সেই কারণে স্বাভাবিকভাবেই আরবান প্ল্যানারদের চাহিদা বেড়েছে। আরবান ও রিজিওনাল প্ল্যানাররা কোনও জমির সঠিকভাবে ব্যবহারের স্ট্যাটেজি করেন এবং সেখানে বসবাসকারীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিকাঠামো নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।