Part-Time Job Frauds: ‘ঘরে বসে আয়’-এর বিজ্ঞাপনে লুকিয়ে জালিয়াতি, কীভাবে হচ্ছে? কী করে বাঁচবেন?

Part-Time Job Frauds: এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। এরপরই এই ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু, এরপরও বেশ কিছু এই ধরনের ওয়েবসাইট ছড়িয়ে রয়েছে নেট দুনিয়ায়। কাজেই নাগরিকদের জন্য এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। তাই এই প্রতারণা কীভাবে হয় এবং কীভাবে এই জালিয়াতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়, তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

Part-Time Job Frauds: 'ঘরে বসে আয়'-এর বিজ্ঞাপনে লুকিয়ে জালিয়াতি, কীভাবে হচ্ছে? কী করে বাঁচবেন?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2023 | 4:55 PM

নয়া দিল্লি: বিনিয়োগ এবং টাস্ক-ভিত্তিক অস্থায়ী কাজ দেওয়ার নামে জালিয়াতিতে জড়িত ১০০টিরও বেশি ওয়েবসাইট ব্লক করেছে সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ওয়েবসাইটগুলি বিদেশ থেকে চালান হত এবং তারা ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, চ্যাট মেসেঞ্জার এবং ভাড়া করা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই জালিয়াতি চালাত। বড় আকারের আর্থিক প্রতারণা থেকে প্রাপ্ত অর্থ কার্ড নেটওয়ার্ক, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিদেশের এটিএম এবং আন্তর্জাতিক ফিনটেক সংস্থাগুলি ব্যবহার করে ভারত থেকে বাইরে পাচার করা হত। এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। এরপরই এই ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু, এরপরও বেশ কিছু এই ধরনের ওয়েবসাইট ছড়িয়ে রয়েছে নেট দুনিয়ায়। কাজেই নাগরিকদের জন্য এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। তাই এই প্রতারণা কীভাবে হয় এবং কীভাবে এই জালিয়াতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়, তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

কীভাবে এই প্রতারণা করা হয়?

১. ‘ঘর বসে কাজ’, ‘ঘরে বসে কীভাবে আয় করবেন’ – বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে গুগল এবং মেটার মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পাঠানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, ঘরে থাকা মহিলা এবং অস্থায়ী চাকরি খোঁজা বেকার যুবক-যুবতীদের নিশানা করা হয়।

২. এই ধরনের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার পর, হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জালিয়াত সংস্থার কোনও এজেন্ট গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। সে ওই গ্রাহককে ভিডিয়ো লাইক করা, পেজ সাবস্ক্রাইব করা, ম্যাপ রেট করার মতো কিছু সহজ অনলাইন কাজ দেন।

৩. ওই কাজগুলি শেষ হওয়ার পর, গ্রাহকদের প্রাথমিকভাবে কিছু কমিশন দেওয়া হয়। ওই ধরনের কাজ করে আরও বেশি উপার্জনের জন্য কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে বলা হয়।

৪. এই ভাবে দু-তিনবার বিনিয়োগে বেশি বেশি করে রিটার্ন দিয়ে গ্রাহকের আত্মবিশ্বাস অর্জন করা হয়। এরপর ওই গ্রাহক যখন কোনও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে, তখনই সেই জমা টাকা ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। এইভাবেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

কীভাবে প্রতারকদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন?

১. ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেওয়া এই ধরনের উচ্চ কমিশন-প্রদানকারী অনলাইন স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করার আগে, সেই স্কিম নিয়ে যথাযথ পড়াশোনা করে নিন।

২. যদি কোনও অজানা ব্যক্তি আপনার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করে, তাহলে যাচাই না করে তার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন করবেন না।

৩. ইউপিআই অ্যাপে প্রাপকের নাম দেখানো হয়। সেখানে তার নাম-পরিচয় যাচাই করে নিন। প্রাপক যদি কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হয়, তাহলে ওই অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো হতে পারে এবং স্কিমটি প্রতারণামূলক হতে পারে। একইভাবে, প্রাথমিক কমিশন যেখান থেকে দেওয়া হচ্ছে, সেই উত্সটিও যাচাই করে নিন।

৪. সাধারণভাবে নাগরিকদের কোনও অজানা অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, এর ফলে আপনি আর্থিক প্রতারণার শিকার তো হতেই পারেন, সেই সঙ্গে ওই অর্থ সন্ত্রাসবাদে তহবিল প্রদানের কাজেও লাগানো হতে পারে। ফলে, পরবর্তী সময়ে পুলিশ এবং অন্যান্য আইনি সংস্থাগুলি আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।