‘ঘরে বসে আয়’, বিজ্ঞাপন দিয়ে জালিয়াতি! ১০০-র বেশি ওয়েবসাইট ব্লক করল কেন্দ্র
Govt blocks 100 job fraud websites: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্যতম শাখা, ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট এই বিষয়ে তদন্ত করেছিল। গত সপ্তাহেই তারা এই সুপারিশ করেছিল। তারপরই এদিন, তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর আওতায় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করল।
নয়া দিল্লি: বিনিয়োগ এবং পার্টটাইম কাজের নামে চলছে জানিয়াতি। এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে, বুধবার (৬ ডিসেম্বর), ১০০টিরও বেশি ওয়েবসাইট ব্লক করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ওয়েবসাইটগুলি বিদেশ থেকে পরিচালনা করা হত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সাইটগুলি ব্লক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্যতম শাখা, ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট এই বিষয়ে তদন্ত করেছিল। গত সপ্তাহেই তারা এই সুপারিশ করেছিল। তারপরই এদিন, তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর আওতায় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করল।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ওয়েবসাইটগুলি ডিজিট্যাল বিজ্ঞাপন, চ্যাট মেসেঞ্জার, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে জালিয়াতি করত। আরও বলা হয়েছে, এই বৃহৎ আকারের অর্থনৈতিক জালিয়াতি থেকে প্রাপ্ত অর্থ কার্ড নেটওয়ার্ক, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিদেশের এটিএম থকে টাকা তোলা এবং আন্তর্জাতিক ফিনটেক সংস্থাগুলি ব্যবহার করে ভারত থেকে বিদেশে পাচার করা হত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাইবার অপরাধ দমন করতে এবং সাইবার অপরাধীদের থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এই প্রতারকরা কীভাবে কাজ করত, সেই সম্পর্কে বিশদ জানিয়েছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে ‘ঘরে বসে কাজ’ এবং ‘ঘর বসে উপার্জন করুন’ এর মতো কীওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগল এবং মেটাতে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দিত। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, ঘরে থাকা মহিলা এবং বেকার যুবক-যুবতীরা যারা অস্থায়ী চাকরি খুঁজছে, তাদেরকেই এই প্রতরকরা মূলত নিশানা করত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তাদের সাধারণ কিছু কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের লোভ দেখানো হত। তারপর, তাদের থেকে অর্থ চাওয়া হত বিনিয়োগের জন্য। বিনিয়োগ করলে সেই অর্থ থেকে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে বলে জানানো হত। কেউ বেশি অর্থ বিনিয়োগ করলেই, সেই জমা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হত।