Weight Loss Challenge: কর্মীদের ওজন কমানোর চ্যালেঞ্জ দিলেন CEO, পুরস্কার মিলবে ১০ লক্ষ টাকা!

Weight Loss Challenge: লিঙ্কডইন পোস্টে নিতিন কামাথ বলেছেন, "জিরোধায় আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ হল প্রত্যেকদিন নতুন একটি মাইলফলক অর্জন। কর্মীদের রোজকার যাবতীয় কার্যাবলী রেকর্ড হবে আমাদের ফিটনেস ট্রাকারে।"

Weight Loss Challenge: কর্মীদের ওজন কমানোর চ্যালেঞ্জ দিলেন CEO, পুরস্কার মিলবে ১০ লক্ষ টাকা!
সংস্থার সিইও নিতিন কামাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 8:36 AM

নয়া দিল্লি: বর্তমানে কর্মব্যস্ততার যুগে দুই মিনিট বসার সময় নেই কারোর হাতে। স্বাস্থ্যচর্চা তো দূরের কথা। সুষম আহারের বদলে জাঙ্ক ফুডেই ভরছে পেট। ফলে অল্প বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধছে কঠিন রোগ। মহুমেহ থেকে হার্টের সমস্যা, রোগে লিস্ট লম্বা। কর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে এবার অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করল একটি অনলাইন সংস্থা। জ়িরোধা নামক এই অনলাইন ব্রোকেজ সংস্থার তরফে কর্মীদের জন্য আনা হয়েছে একাধিক ফিটনেস চ্যালেঞ্জ, যাতে জিতলেই মিলবে আকর্ষণীয় উপহার। শুধু তাই নয়, একজন লাকি উইনার, শুধুমাত্র অংশগ্রহণের জন্যই জিতে নিতে পারবেন  ১০ লক্ষ টাকা উপহার।

এই আকর্ষণীয় স্কিম সম্পর্কে সংস্থার সিইও নিতিন কামাথ বলেন, “এই চ্যালেঞ্জে যে সমস্ত কর্মীরাই অংশগ্রহণ করবেন, তারা দারুণ ইনসেনটিভ পাবেন। একজন ভাগ্যবান অংশগ্রহণকারী ১০ লক্ষ টাকার উপহারও পাবেন। এই চ্যালেঞ্জটি হল প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে দিনে ৩৫০ ক্যালোরি খরচ করতেই হবে। সংস্থার তরফে একটি ফিটনেস ট্রাকার দেওয়া হবে। তাতে নিজের রোজকার লক্ষ্য স্থির করে নিতে পারবেন কর্মীরা।”

লিঙ্কডইন পোস্টে নিতিন কামাথ বলেছেন, “জিরোধায় আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ হল প্রত্যেকদিন নতুন একটি মাইলফলক অর্জন। কর্মীদের রোজকার যাবতীয় কার্যাবলী রেকর্ড হবে আমাদের ফিটনেস ট্রাকারে। যারা প্রত্যেকদিনের ঠিক করা লক্ষ্যের ৯০ শতাংশ পূরণ করবেন আগামী এক বছরে, তাদের এক মাসের বেতন দেওয়া হবে বোনাস হিসাবে। এছাড়া একজন লাকি উইনার মোটিভেশন কিকার হিসাবে ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কার পাবেন।”

নিতিন কামাথের দাবি, তার সংস্থা কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময়ও সক্রিয় রাখার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং বর্তমানেও তা জারি রেখেছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা অধিকাংশই বাড়ি থেকে কাজ করছি। সারাদিন বসে বসে স্মোক করে, নতুন রোগ বয়ে আনছি। সেই কারণেই সকল কর্মীকে সচল ও সক্রিয় রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি, এতে কর্মীরা ও তাদের পরিবার সচল থাকবেন এবং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।”

করোনাকালে বহু কর্মীরই ওজন বেড়েছে। নিজের স্বাস্থ্য ও চেহারাকে পুরনো ট্রাকে ফেরাতে তাই অনেকেই ডায়েট অনুসরণ করছেন। প্রতিদিন ৩৫০ ক্যালোরির লক্ষ্যমাত্রাই ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে ১০০০ ক্যালোরিতে পৌঁছবে এই আশাই করছেন সংস্থার সিইও। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও তিনি কর্মীদের ওজন কমানোর জন্য পুরস্কার দিয়েছিলেন মোটা টাকা।