Karnataka Election: মচকাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী, ‘অভিশপ্ত’ কোলার থেকেই সূচনা ‘সত্যমেব জয়তে’ যাত্রার

Rahul Gandhi Karnataka Election Campaign: কর্নাটকের কোলারেই মোদী নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য, যার জেরে গিয়েছে সাংসদ পদ। সেই কোলার থেকেই কর্নাটকের ভোট প্রচার শুরু করবেন রাহুল গান্ধী।

Karnataka Election: মচকাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী, 'অভিশপ্ত' কোলার থেকেই সূচনা 'সত্যমেব জয়তে' যাত্রার
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2023 | 6:22 PM

বেঙ্গালুরু: আগামী মাসেই ‘অভিশপ্ত’ কোলারে ফিরে আসছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এখান থেকেই শুরু হবে তাঁর ‘সত্যমেব জয়তে’ প্রচার। বুধবার (২৯ মার্চ), কর্ণাটকের নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০ মে এক দফাতে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে ৫ এপ্রিল কোলার শহর থেকেই কর্নাটক নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন রাহুল গান্ধী। এই কোলারেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এক জনসভায় মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। যার জেরে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, ২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে এবং অবশেষে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। স্পষ্টতই এই ঘটনাক্রমকে রাজনৈতিকভাবে উপেক্ষা করতেই এখান থেকে প্রচার শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। এদিন কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার বলেছেন, “রাহুল গান্ধী কোলারে ফিরে আসবেন এবং তাঁর ‘সত্যমেব জয়তে’ প্রচার শুরু করবেন। আমরা তাঁকে এখান থেকে নির্বাচনী যাত্রা শুরু করার জন্য অনুরোধ করেছি। যেখানে তিনি ওই বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং বিজেপি তার বক্তব্যের নিন্দা করেছিল, সেখান থেকেই তিনি তাঁর মেগা প্রচার শুরু করবেন।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কোলারের জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলন, “সব চোরের পদবিই মোদী হয় কেন বলুন তো?” কংগ্রেসের দাবি, রাহুল দুই পলাতক অপরাধী ললিত মোদী এবং নীরব মোদীর কথা উল্লেখ করে, প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিজেপি তা মানতে চায়নি। কংগ্রেস নেতা সামগ্রিকভাবে মোদী পদবীধারী অনগ্রসর শ্রেণিকেই অপমান করেছেন অভিযোগ করে, তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। গত শুক্রবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুরাটের এক আদালত। তারপর, তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। এত কিছুর পরও ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন রাহুল গান্ধী।

গোটা দেশে বিরোধীরা রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস-সহ ১৮টি বিরোধী দলের নেতা এই বিষয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে সরকারের এই পদক্ষেপকে একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কং নেতাদের আশা, পরের বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ঘটনাই বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে আসন্ন কর্নাটক নির্বাচনে কোনও জোট গড়ে নয়, একাকি লড়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৮ সালেও এককভাবেই লড়েছিল কংগ্রেস। পরে নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ায়, জেডি(এস)-এর সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছিল তারা। তবে এক বছর যেতে না যেতেই দুই দলেরই বেশ কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। ফলে, জোট সরকারের পতন ঘটেছিল। তবে এইবার আর জোট গড়ার প্রয়োজন পড়বে না বলে দাবি করেছেন ডিকে শিবকুমার। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কংগ্রেসই একক বৃহত্তম দল হবে।” আর সেই লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হবে কোলার থেকে।