Kolkata municipal corporation election 2021: ‘নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, যদি দম থাকে পুনর্নির্বাচন করুন’
Suvendu Adhikari: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। অবাধে ছাপ্পা, রিগিং হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, যদি দম থাকে পুনর্নির্বাচন করুন।"
কলকাতা: রাজ্যপালের কাছে রবিবারের পুরভোট নিয়ে নালিশ জানানোর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেখানও পুলিশের সঙ্গে এক প্রস্থ বচসা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস তখনও তাঁর দফতরেই ছিলেন। কিন্তু তারপরেও কেন বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চাইছেন না, তা নিয়ে হুলুস্থুলু পরিস্থিতি তৈরি হয় বাইরে। বেশ কিছুক্ষণ পরে অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান বিজেপি প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে বেরিয়ে ফের একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। অবাধে ছাপ্পা, রিগিং হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, যদি দম থাকে পুনর্নির্বাচন করুন। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে সিসিটিভি অডিট করা হোক। ৬ হাজার বুথের মধ্যে ৩ হাজার বুথে বিরোধীদের বসতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের গুণ্ডারা আটটা দশটা করে ভোট দিয়েছে, আমার কাছে ফুটেজ আছে।”
রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “আজ ভোট লুঠ হয়েছে। সেই কারণে তিনি চারটের সময় মিত্র ইনস্টিটিউশন, সেখানে শতকরা ৯০ ভাগ ভোট লুঠ করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে তিনি কলকাতার জনগণকে অভিনন্দন না জানিয়ে পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা নাকি বহিরাগত। উনি এর আগে বিধানসভা ভোট প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলেছেন। আর আজ কলকাতার বাইরের যাঁরা লোক, তাঁদের বহিরাগত বলেছেন। তিনি বলেছেন, বহিরাগতদের আটকে দিয়ে পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে বলেছি, এখানে যে নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন তিনি মেরুদণ্ডহীন, যিনি এক্সটেনশন পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে, তাঁর আনুকূল্যে আছেন, পে রোলে আছেন। নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি, রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক একইরকমভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল। এখানে কেউ আসবে না। এখানে আসা যা, ক্যামাক স্ট্রিটে ভাইপোর অফিসে যাওয়াও তা, অথবা তপসিয়াতে তৃণমূল অফিসে যাওয়াও তা – সবটা সমার্থক। গণতন্ত্রে এ জিনিস বেশিদিন চলে না।”