Siliguri Municipal Election: নির্দল হিসাবে মনোনয়ন প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল, বিকাশদের, ‘দিদির ছবি সরলেই জিরো’, হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
Siliguri Municipality Election: দল টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিলের ধারা অব্যাহত শিলিগুড়িতেও
শিলিগুড়ি: দল টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিলের ধারা অব্যাহত শিলিগুড়িতেও (Siliguri Municipal Election)। এবার শিলিগুড়িতে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল সাহানী। আবার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিলেন বিকাশ সরকার। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হলেন মল্লিকা দেবনাথ।
নিখিল সাহানীর অবশ্য দাবি, তিনি তৃণমূলরই প্রার্থী, দলেই আছেন। তাঁর কথায়, “আমি তৃণমূলের প্রার্থীই। দল ছাড়িনি। নেতাদের খুশি করতে বহিরাগত স্বার্থপর এক ব্যক্তিকে দিল টিকিট দিয়েছে। আমি নির্দল লড়লেও দলকে ভালবাসি। আশা রাখি, দলের অফিসিয়াল প্রার্থী নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন”।
এদিকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল মনোনয়ন জমা দিয়ে তৃণমূল যুবর রাজ্য সম্পাদক বিকাশ সরকারের হুঁশিয়ারি, “এলাকার মানুষের দাবি মেনেই নির্দল লড়াই করছি। বাকিটা দল বিবেচনা করুক”।
দলের নেতাদের এহেন পদক্ষেপে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। এ নিয়ে গৌতম দেবের বক্তব্য, “যাঁরা নির্দলে দাঁড়িয়েছেন, তাদের বুঝিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি ওঁরা দলের সঙ্গেই থাকবেন”।
এদিকে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে ওঁদের জন্য”। তাঁর সংযুক্তি, “দিদির ছবি থাকলে সবাই হিরো, না থাকলে সবাই জিরো। এটুকু মাথায় রাখতে হবে”।
এদিকে কোভিড বিধি না মেনে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিতর্কে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। এদিন নির্দল প্রার্থী বিকাশ সরকারের প্রচারে মিছিল হয়। সেখানে দেখা যায়, মুখে মাস্ক ছাড়াই কয়েকশো লোককে নিয়ে শিলিগুড়িতে মিছিল করছেন তাঁর সমর্থকরা। একই ছবি দেখা গিয়েছে আসানসোলেও।
সোমবার থেকে বাংলায় নতুন করে শুরু হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। তারই মধ্যে চলছে আসানসোল পুরভোটের প্রস্তুতি। করোনার চোখরাঙানির মধ্যেই সোমবার শেষ দিন আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা। আর তাতে কোথায় উবে গেল করোনাবিধি! বিশেষত তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে যে মিছিল উৎসবের চেহারা নিল, তাতে বোধা দুষ্কর করোনাবিধি বলে কিছু জারি হয়েছে!
করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে রাজ্য সরকারের তরফে রবিবার যে বিধিনিষেধ বলবৎ করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কোনও জমায়েত, মিটিং ও মিছিলে ৫০ জনের বেশি থাকবে না। কিন্তু এদিন আসানসোলে বিভিন্ন দলের একাধিক প্রার্থীকে দেখা গেল ১০০-২০০-র বেশি লোক নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন কেন্দ্রে আসতে। অনেক ক্ষেত্রে শুধু কর্মী সমর্থকরা নন, প্রার্থীদের মুখেও ছিল না মাস্ক। এদিকে মুখে মাস্ক না পরার জন্য রাজ্যজুড়ে চলছে ধরপাকড়। তাই প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক দলগুলির জন্য কি করোনাবিধি আলাদা?