UP Assembly Election 2022: গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে সপা-বিজেপি, নির্বাচনে এই চিহ্নেই ‘আস্থা’ লখিমপুরের কৃষকদের

UP Assembly Election 2022: কৃষকদের হাতিয়ার করে রাজনীতির পারদ চড়লেও, কোনও রাজনৈতিক দলেই ভরসা নেই লখিমপুরের কৃষকদের।

UP Assembly Election 2022: গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে সপা-বিজেপি, নির্বাচনে এই চিহ্নেই 'আস্থা' লখিমপুরের কৃষকদের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 3:17 PM

লখনউ: উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Kheri Issue) ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। বিরোধীরা শীতকালীন অধিবেশনও এক প্রকার পণ্ড করেছিল লখিমপুর খেরির ঘটনাকে ইস্যু করেই। কৃষকদের হাতিয়ার করে রাজনীতির পারদ চড়লেও, কোনও রাজনৈতিক দলেই ভরসা নেই লখিমপুরের কৃষকদের (Farmers)। তাই এবার তারা নোটা(NOTA)-তেই ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন। তাদের দাবি, প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি তাদের ঠকিয়েছে। অন্যান্য দলগুলি তো সাহায্যের চেষ্টাও করেনি।

উত্তর প্রদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশই কৃষক। লখিমপুরের অধিকাংশ বাসিন্দাও কৃষিকাজের সঙ্গেই যুক্ত। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। তবে কৃষকদের একটি বড় অংশই কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে রাজি নন। তাদের কথায়, যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের ‘ঠকিয়েছে’, তারপরে তারা ভোট দিলে নোটা (যখন কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ না হয়)-তে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একদিকে, যেমন অখিলেশ যাদবের সরকার আখ মিলের মালিকদের ২ হাজার কোটি টাকরার সুদ মকুব করে দিয়েছিলেন, যা কৃষকদের প্রাপ্য ছিল। তেমনই  বিজেপি সরকারও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও, তার কোনওটিই পূরণ করেনি। তার উপরে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষকদের হত্যা করার অভিযোগ তো রয়েইছে।

লখিমপুরের মারুচা গ্রামের কৃষক জগপাল ধিল্লোন সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেস নির্বাচনের আগেএসে কেবল গালভরা প্রতিশ্রুতিই দেয়। নির্বাচনের সময় তাদের প্রচারের পণ্য হিসাবে ব্যবহার করে। সেই কারণেই কোনও রাজনৈতিক দলের উপরই আর আস্থা নেই।

লখিমপুর কাণ্ডের প্রভাব:

গত বছর ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ই মন্ত্রীর কনভয় থেকে একটি কালো এসইউভি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে কৃষকদের। গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৪ জন কৃষকের। এরপরই রণক্ষেত্রের আকার নেয় বিক্ষোভস্থল। জনতার মারে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিক ও তিন বিজেপি কর্মীর। কৃষক মৃত্য়ুর ঘটনায় নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্রের নাম। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ায়। নভেম্বর মাসে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল রিপোর্ট পেশ করে, তাতেও উল্লেখ করা হয় যে, ইচ্ছাকৃতভাবেই কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়া হয়েছিল।

কৃষক আন্দোলন ও লখিমপুর খেরির ঘটনাকে কেন্দ্র করেই লখিমপুরের সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের মনে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাও পূরণ করা হয়নি বলে তাদের দাবি।

সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে ক্ষোভ:

লখিমপুরের ৭৫ শতাংশ কৃষকই আখ চাষ করেন। ২০১৭ সালের আগে অখিলেশ যাদব যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সে সময়ে তিনি চিনির মিলের মালিকদের বকেয়া ২ হাজার কোটি টাকার সুদ মকুব করে দিয়েছিলেন। এই গোটা অর্থটাই আখ চাষীদের পাওয়ার কথা ছিল। অখিলেশ যাদবের এই হঠকারি সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকদের যে চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে, তা তারা এখনও ভোলেননি। কৃষকদের কথায়, এতদিন সমাজবাদী পার্টি আমাদের গুরুত্বও দেয়নি। এখন নির্বাচন আসতেই অখিলেশ যাদব বলছেন যে উনি কৃষকদের পাশে রয়েছেন।

রাজনৈতিক দলগুলির এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতেই ক্ষুব্ধ হয়ে লখিমপুরের কৃষকরা এবার নোটায় ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Rahul Gandhi to Speak in Lok Sabha: বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলের প্রথম বক্তাই রাহুল! কী কী প্রশ্নের মুখে পড়বে কেন্দ্র?