Keshav Maurya on UP: বিজেপি সরকারে আসার আগে ‘লুঙ্গি ছাপ গুণ্ডারা’ স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াত, উপমুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
Keshav Prasad Maurya: ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি।
লখনউ: আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিন যত এগোচ্ছে, দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তত চড়ছে। এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। শুক্রবার তিনি বলেন, ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারে বিজেপি আসার আগে ‘লুঙ্গি ছাপ গুণ্ডারা’ স্বাধীনভাবে রাজ্যে ঘুরে বেড়াত। মাথায় ‘জেহাদি টুপি’ পরে তারা মানুষকে ভয় দেখাত, ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত এবং তাদের জমি দখল করে নিত। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
শুক্রবার প্রয়াগরাজে ব্যবসায়ীদের এক সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “২০১৭ সালে নির্বাচনের আগে কত লুঙ্গি ছাপ গুণ্ডার ঘুরে বেড়াত। তাঁরা বন্দুক দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত। বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে আপনারা কি আর তাদের দেখেতে পান?”
অন্যদিকে মথুরা মন্দির নিয়ে মৌর্যের করা টুইটকে ভাল চোখে নেয়নি অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। তাদের অভিযোগ বিজেপি শুধুমাত্র আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পাওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন। ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে সেখানে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বসানোর পরামর্শ দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি ছিল ওটাই শ্রীকৃষ্ণের আসল জন্মস্থান। কিন্তু ২৮ নভেম্বর থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরতেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election 2022)। তার আগেই একের পর ইস্যুতে তপ্ত লখনউয়ের রাজনীতি। একের পর এক ঘটনায় শাসক বিরোধী চাপন উতর চলছেই। বিধানসভা নির্বাচনে, উত্তর প্রদেশে বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের গুরুত্ব অসীম। কথিত আছে ‘দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়েই যায়’, সেই কারণে এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখাই বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, একের পর এক প্রকল্প উদ্ধোধনে ঘন ঘন যোগী রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
আরও পড়ুন India-Pakistan relation: পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান যাবে ভারতের পাঠানো ত্রান সামগ্রী, মিলল অনুমতি
