Congress’s 3rd Poster Girl Joins BJP: ভোটের মাঝেই কংগ্রেসের তৃতীয় ‘পোস্টার গার্ল’ও বিজেপিতে, কাঠগড়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তাই!
Uttar Pradesh Assembly Election 2022: এর আগে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই, তাতে নিজের নাম না দেখে দল ছাড়েন প্রিয়ঙ্কা মৌর্য্য নামক আরেক পোস্টার গার্ল। তিনিও দলে শীর্ষ নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।
লখনউ: প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে আর দু’দিন পরেই। এরমধ্যেই ফের ভাঙন কংগ্রেসে (Congress)। উত্তর প্রদেশের জমি দখলে কংগ্রেসের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার “লড়কি হু, লড় সকতি হু” (Ladki Hu, Lad Sakti Hu) স্লোগান। সেই স্লোগান প্রচারেই যেসমস্ত মহিলা দলীয় কর্মীদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল, তারাই এবার একে একে শাসক দল বিজেপি(BJP)-তে যোগদান করছেন। প্রিয়ঙ্কা মৌর্য্য ও বন্দনা সিংয়ের পর এদিন পল্লবী সিং নামক কংগ্রেস কর্মীও বিজেপিতে যোগদান করলেন। তিনি কংগ্রেসের তৃতীয় ‘পোস্টার গার্ল’ (Poster Girl) , যে ভোট আবহেই দলবদল করলেন। নির্বাচনী স্লোগানের মুখ যারা, তারাই একে একে দল ছাড়ায় কংগ্রেস বড় ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপিতে যোগদান করলেও, এদিন পল্লবী সিং কংগ্রেস সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেননি। তবে তার আগে যে দুই পোস্টার গার্ল বিজেপিতে গিয়েছেন, তারা সকলেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছেন। বুধবারই কংগ্রেস ছেড়েছেন দ্বিতীয় পোস্টার বন্দনা সিং। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে যে বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ, তাতে শীর্ষ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নগণ্য। দল কেবল তাদেরই সুযোগ দিচ্ছে, যারা নতুন যোগদান করেছেন। আমি বিগত ছয় বছর ধরে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছি। আমি কংগ্রেসের মহিলা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগটুকুও পাইনি আমরা। কংগ্রেসে আমরা নিজেদের হয়ে কথা বলতে পারিনা।”
এর আগে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই, তাতে নিজের নাম না দেখে দল ছাড়েন প্রিয়ঙ্কা মৌর্য্য নামক আরেক পোস্টার গার্ল। তিনিও দলে শীর্ষ নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট বন্দনেও কারচুপির অভিযোগ আনেন।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেস আমার নাম, আমার মুখ ও সোশ্যাল মিডিয়ার ১০ লক্ষ ফলোয়ারকে ব্যবহার করেছে নির্বাচনী প্রচার চালানোর জন্য। কিন্তু যখন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার পালা এল, তখন অন্য কাউকে প্রার্থী করে দেওয়া হল। আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। এগুলো সবই আগে থেকে পরিকল্পনা করা ছিল।”
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন, উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের আসন বন্টনে ৪০ শতাংশ টিকিট মহিলা প্রার্থীদের জন্যই সংরক্ষিত থাকবে। সেই হিসাবে ১৬০টি কেন্দ্রে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের। তবে শেষ অবধি তা হয়নি।