Municipal Elections 2022: পুরসভার ভোটে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী, নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক! হাইকোর্টের দ্বারস্থ পদ্ম শিবির
BJP Demands Central Force: নির্বাচনের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করানোর আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। একজন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক এবং নিরপেক্ষ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করার জন্যও আর্জি করা হয়েছে।
কলকাতা: ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচনে (Municipal Election 2022) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP) শিবির। নির্বাচনের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করানোর আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। একজন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক এবং নিরপেক্ষ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করার জন্যও আর্জি করা হয়েছে। বুধবার এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। উল্লেখ্য, এর আগেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি শিবির। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের শবিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেগুলিকেই প্রচারের হাতিয়ার করছে শাসক দল।
পাশাপাশি যাঁরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করতে পেরেছেন, তাঁদেরকেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে – সেই কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, পুরসভা নির্বাচনে আদালতের কোনও নির্দেশ মানা হয়নি। নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে বলেও, অভিযোগ বিজেপির আইনজীবীর। এই পরিস্থিতিতে বাকি ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচনের ক্ষেত্রে আদালত যাতে হস্তক্ষেপ করে, সেই আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রার্থীরা কোনও মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে হাইকোর্টের একজন আইনজীবী বিধাননগরের নির্বাচনের দিন ভোট দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন, সেই কথাও তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, তাঁর আঙুল ভেঙে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপি আইনজীবী।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি উঠেছিল। সেই সময়েও বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল।বিধাননগর পুরনিগমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না, সেই বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। ভোট প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনেই সেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন দেখার ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী জানায় আদালত।
আরও পড়ুন : School Reopening : কোন স্কুলের কী অবস্থা! কতদূর এগোল সাফ-সাফাই? বিকেলেই রিপোর্ট জমা বিকাশ ভবনে