ব্রিগেডের আগেই আব্বাসের সঙ্গে বোঝাপড়া সেরে ফেলুক কংগ্রেস, চাইছে বাম নেতৃত্ব

ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে (ISF)- কে ২৫ টি আসন ছাড়তে পারে বামেরা। বামেরা চায় আইআসএফের জন্য একই সংখ্যক আসন ছেড়ে দিক কংগ্রেসও।

ব্রিগেডের আগেই আব্বাসের সঙ্গে বোঝাপড়া সেরে ফেলুক কংগ্রেস, চাইছে বাম নেতৃত্ব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2021 | 11:08 PM

কলকাতা: বাংলার ভোটের (Assembly Election 2021) আর বেশি দেরি নেই। সব দলই প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছে। কিন্তু জোটের হিসেব মিলছে না এখনও। তাই হিসেব দ্রুত মেলাতে তৎপর বামেরা। ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে জনসভা বাম-কংগ্রেস জোটের। তার আগে যাতে আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়, সেই বার্তাই দিচ্ছেন বাম নেতারা।

আসন বন্টন নিয়ে তাই কংগ্রেসকে আরও নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বাম নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার একটি শিক্ষক সংগঠনের কর্মসূচিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান যোগ দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, জোট প্রক্রিয়া কীভাবে দ্রুত শেষ করা যায়, তা নিয়ে অধীরের সঙ্গে আলোচনা করেন বিমান। প্রয়োজনে সিপিএমের তাদের ভাগের আসন থেকে কংগ্রেসকে আরও দুটো একটা আসন দেওয়া যায় কী না, তাও ভেবে দেখছেন বিমানবাবুরা।

আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে (ISF)- কে ২৫ টি আসন ছাড়তে পারে বামেরা। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। বামেরা চায় আইআসএফের জন্য একই সংখ্যক আসন ছেড়ে দিক কংগ্রেসও।

দু দিন আগে বাম-কংগ্রেস জোটের বৈঠক ছিল আর সেখানে বাম-কংগ্রেসের কাছে ৬০ থেকে ৭০টি আসন চেয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বেশি আসন দাবি করেছে আব্বাস। তাই নিয়ে জোর আলোচনা হয় বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে। আব্বাসদের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা সফল হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

২৮ ফেব্রুয়ারির আগে অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই জোটের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে চাইছে বাম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তবে সমস্যা কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের। তাই সমস্যা কংগ্রেসকে মেটাতে হবে বলেই দাবি বাম নেতাদের। আব্বাসের সঙ্গে বোঝাপড়া কীভাবে হবে তা নিয়ে বিমানের সঙ্গে অধীরের আলোচনাও হয়েছে।

শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। সেখানে মূলত শরিকদের আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। কোথায় কেমন করে কোন আসন কাকে ছাড়তে হবে, কেন ছাড়তে হবে। পরিবর্তে কী পাওয়া যাবে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হবে। ব্রিগেড সমাবেশ নিয়েও আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগ: কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দিনই বিতর্কে সংসদ, বিক্ষোভে কয়েকশো প্রার্থী

উল্লেখ্য, ব্রিগেডে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। তবে সেটা ভার্চুয়ালি। বুধবার সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ব্রিগেডে ভার্চুয়ালি উপস্থিত করার জন্য প্রাথমিক স্তরে আলোচনা করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীরা। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে রাজ্য কমিটিতেও। ব্রিগেড আয়োজন করার ক্ষেত্রে যেহেতু কলকাতা জেলা অগ্রণী ভূমিকে নিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটিও এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। তারপরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

এছাড়াও সিপিএম সূত্রের খবর, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের জনসভায় বক্তা হিসেবে থাকবেন গৌতম দেব। একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেডে বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। বক্তাদের তালিকায় থাকতে পারেন মহম্মদ সেলিমও।