‘ওয়াকওভার নয়, খেলেই জিততে চাই’, মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করে তৃণমূলকে তোপ অশোকের
সোমবারের রোড শোয়ে, সাংবাদিকদের অশোক বলেন, ‘জনসংযোগ বাড়াতে ঘরে ঘরে গিয়েছি। প্রচার চলবেই। ওয়াকওভার নয়, খেলেই জিততে চাই।’
জলপাইগুড়ি: ভোট আবহে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে গোষ্ঠীকোন্দল। শিলিগুড়িতে, একদিকে জোড়াফুলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল, অন্যদিকে পুরসভার শাসকদলের যুব নেতা শঙ্কর ঘোষ ইতিমধ্যেই দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অশোক ঘনিষ্ঠ শঙ্করের এই দলত্যাগ, বাম সংগঠনের (CPM) কোমর না ভাঙলেও মোচড় ধরিয়েছে। এই পরস্থিতিতে, জোর কদমে প্রচারে নেমেছেন বিদায়ী বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। সোমবার সকালে, শিলিগুড়ির জলপাই মোড় থেকে রোড শো করেন প্রবীণ বাম নেতা।
টিকিট না পেয়ে ‘অভিমানে’ দলত্যাগ করেছেন তৃণমূলের (TMC) দাপুটে দলনেতা নানটু পাল। গত ৬ মার্চ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, শিলিগুড়িতে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। তখনই ‘বেসুরো’ বাজতে শুরু করেন নানটু। তাঁকে দলে ফেরাতে তড়িঘ়ড়ি বৈঠক ডাকেন অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু, চিঁড়ে ভেজেনি। রবিবার, নানটু জানিয়ে দেন তিনি তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়বেন না। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে শিলিগুড়ি থেকেই লড়াই করতে চান নান্টু।
নান্টুর পাশাপাশি দল ছেড়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এবং সম্পাদিকা জ্যোৎস্না আগরওয়াল। এই পরিস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের দলীয় কোন্দলকে সুযোগ করে প্রচারে মন দিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য।
সোমবারের রোড শোয়ে, সাংবাদিকদের অশোক (Ashok Bhattacharya) বলেন, ‘জনসংযোগ বাড়াতে ঘরে ঘরে গিয়েছি। প্রচার চলবেই। ওয়াকওভার নয়, খেলেই জিততে চাই।’ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের টেনে বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, ‘প্রার্থী এ বি সি ডি যেই হোন, তাতে সমস্যা নেই। লড়াইটাই আসল।’ শুধু তাই নয়, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনাও করেন তিনি।
শিলিগুড়িতে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ওমপ্রকাশ। কিন্তু সে নিয়েও বিশেষ ভাবিত নন অশোক। এ প্রসঙ্গে, অশোক স্পষ্টই বলেন, ‘আত্মতুষ্টি নয়, আমরা আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে লড়াই করছি। আত্মতুষ্টিতে ভরপুর কোনও ব্যক্তি যাতে আমাদের দলে না থাকে সেই দিকেও নজর আছে।’
অশোকের পাল্টা উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি বলেন, ‘আমিও প্রচারে আছি। আমাকে ক্যারি করতে হলে যোগ্যতা লাগে। কারোর আমায় নিয়ে সন্দেহ থাকলে আমার বায়োডাটা দেখে নিক। বাকিটা ভোটের ফলাফলেই দেখা যাবে।’