বুথের সামনে গণ্ডগোল করলেই এ বার চরম পদক্ষেপের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

সাধারণত বুথের বাইরে কোনও জমায়েত হলে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে এ বার আর সেসব কিছুই করা হবে না।

বুথের সামনে গণ্ডগোল করলেই এ বার চরম পদক্ষেপের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2021 | 8:01 PM

কলকাতা: শীতলকুচির ঘটনার পর থেকে যে প্রশ্নটা বারবার করে উঁকি দিচ্ছে তা, প্রথমেই গুলি কেন? এই প্রশ্নের কথা মাথায় রেখেই পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগে আরও বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এমনটাই খবর সূত্রের। সাধারণত বুথের বাইরে কোনও জমায়েত হলে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে এ বার আর সেসব কিছুই করা হবে না। বুথের বাইরে জমায়েত দেখলেই জনতাকে সরাসরি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ১৫১ সিআরপিসি ধারা অনুযায়ী, গোলমাল বাঁধার আশঙ্কা দেখলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হেফাজতে নেওয়া হবে।

অতিসম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শীতলকুচির ঘটনার আরও কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। যেই ভিডিয়োগুলিকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। ভিডিয়োগুলি কমিশনেরও নজরে এসেছে। তবে সেগুলিকে ‘বিকৃত’ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। কেন জওয়ানরা গুলি চালালেন সেটা স্পষ্ট নয়। এমনটাই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। ফলে এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার রাজনৈতিকভাবে বিজেপি শাসকদলকে নিশানায় নিলেও কমিশনের নজরে এই ভিডিয়ো এখনও নির্ভরযোগ্য নয় বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারির পরদিন তিনি কয়েক ঘণ্টা ধরনায় বসেছিলেন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। যা নিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিরোধীরা। যদিও এ দিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনা করেছেন সেটা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি। এর পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ষষ্ঠ দফা ভোটে ৯৫৪ কোম্পানি, সপ্তম দফায় ৭৯১ কোম্পানি, এবং অষ্টম দফায় ৭৪৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

আরও পড়ুন: বঙ্গে শেষ তিন দফার ভোট কি একসঙ্গে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল নির্বাচন কমিশন