নন্দীগ্রামে বহিরাগত মমতা! ভূমিপুত্র চেয়ে পোস্টার পড়ল জেলায়
'নন্দীগ্রাম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে চায়, বহিরাগতকে নয়', মমতার সভার আগে পোস্টার বিতর্কে নন্দীগ্রাম (Nandigram)
নন্দীগ্রাম: গত শুক্রবার ২৯১ টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা (Candidate List) ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর থেকে জেলায় জেলায় টিকিট না পাওয়া বিদায়ী বিধায়ক ও নেতাদের ক্ষোভ অব্যাহত। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই কেউ কেউ তৃণমূল (TMC) ছেড়ে (BJP)-তে যোগ দিয়েছেন। কোথাও আবার ‘বহিরাগত’ প্রার্থী চাই না বলে বিক্ষোভ করছে তৃণমূলের একাংশ। এই প্রেক্ষিতে বহিরাগত প্রার্থী চাই না বলে পোস্টার পড়ল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। এলাকার ক্ষুদিরাম মোড় বাস স্টপেজে এই পোস্টারে লেখা, ‘নন্দীগ্রাম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে চায়, বহিরাগতকে নয়’। এই পোস্টার ঘিরে শুরু হল নয়া রাজনৈতিক চাপানউতর।
একুশের নির্বাচনে বাংলার অন্যতম ফোকাশ নন্দীগ্রাম কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তাঁর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী সেখানকারই প্রাক্তন বিধায়ক, মমতার একদা সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে যখন প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েছেন তখন ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দুকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই প্রেক্ষিতে এই পোস্টার যথেষ্টই ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৯ তারিখ নন্দীগ্রামে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটি কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা। তারপর ১০ অথবা ১১ তারিখ মনোনয়ন পেশ করতে পারেন তিনি। এদিকে গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে ১২ মার্চ মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকবেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। এই প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম থানায় প্রবেশের মুখে ক্ষুদিরাম মোড় বাস স্টপেজে পোস্টার পড়ল, ‘নন্দীগ্রাম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে চায়, বহিরাগতকে নয়’।
এই পোস্টার বিতর্কে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সম্ভাব্য হারের আতঙ্কে বিরোধীরা এই ধরনের অপপ্রচার করছে। ভোটে মানুষই এর জবাব দেবে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষ স্থানীয় প্রার্থীকেই চান। তাই সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পোস্টার দিয়েছে। এর সঙ্গে তারা কোনওভাবে জড়িত নয় বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। তাই মমতাকেই বহিরাগত ইঙ্গিত করে তাঁর দলের তরফে নাকি বিরোধী দলের পক্ষে এ ধরনের পোস্টার দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।