মন্দির পুজো, মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রচার শুরু পার্থর, বললেন সৎ ছিলাম, থাকব

"আমি বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করেছি, বেহালার মানুষের হয়ে কাজ করেছি, মহিলাদের জন্য কাজ করেছি তাতে মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবে,'' বললেন পার্থ

মন্দির পুজো, মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রচার শুরু পার্থর, বললেন সৎ ছিলাম, থাকব
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2021 | 5:00 PM

কলকাতা: ঠাকুরপুকুরের পঞ্চানন মন্দিরে পুজো এবং পাঁচ মসজিদে মাজারে চাদর চড়িয়ে ভোটপ্রচার শুরু করলেন বেহালা পশ্চিম বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একুশের ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) বিজেপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবেন।

২০০১ সাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূলের চারবারের বিধায়কের কথায়, “আমি ২০০১ সাল থেকে যখনই প্রচার শুরু করি, তখনই ঠাকুরপুকুরের পঞ্চানন মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করি। তার পর মাজার এবং পরে চণ্ডী মন্দিরে পুজো দেব।”

গত ১২ মার্চ আইকোর-মামলায় পার্থকে তলব করেছে সিবিআই (CBI)। তবে নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে এখনই সিবিআই দফতরে যেতে পারছেন না বলে আইনজীবী মারফত তদন্তকারীদের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। সেই প্রসঙ্গে আইকর পার্থর মন্তব্য, “আজকে আমাকে যেতে বলেনি। আমি এটা নিয়ে কোন চিন্তাও করি না।” তিনি যোগ করেন, এত বড় চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি। সারা জীবন সৎ ছিলাম, আছি এবং থাকব। সুতরাং আমার এসব (চিটফান্ড মামলা) নিয়ে এত চিন্তা নেই।

নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নির্বাচনের মধ্যে এইসব মামলার চিঠি দিয়ে বিব্রত করাই কৌশল। পাশাপাশি জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী পার্থর কথায়, জিতব কিনা সেটা মানুষই ঠিক করবে। বলেন, “আমি বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করেছি, বেহালার মানুষের হয়ে কাজ করেছি, মহিলাদের জন্য কাজ করেছি তাতে মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবে।”

রবিবারই তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে বেহালা পূর্বের প্রার্থী হিসেবে অভিনেতা পায়েল সরকারের নাম ঘোষণা করলেও বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে এখনও প্রার্থীর নাম প্রকাশ হয়নি। শোনা গিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন বেহালা পূর্বের বিদায়ী বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রবিবার শোভনকে টিকিট না দেওয়ায় তাঁরা দু’জনেই বিজেপি ত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া, “এটা ওঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে ব্যস্ত, এখনই হাজিরা সম্ভব নয়, আইকোরকাণ্ডে সিবিআইকে বার্তা পার্থর

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থী হন পার্থ। নাকতলার বাসিন্দা সে বার ১৯ হাজার ভোটে হারান সিপিএের দু’বারের বিধায়ক নির্মল মুখোপাধ্যায়কে। তার পর, ২০০৬ সালে বামফ্রন্টের ব্যাপক জয়েও ওই কেন্দ্রেই সাড়ে চার হাজার ভোটে জিতে বিরোধী দলনেতা হন পার্থবাবু। ২০১১ সালে ৫৯ হাজার ভোটে জিতেছিলেন পার্থ। ২০১৬ সালে ভোটে জিতে মন্ত্রিসভায় জায়গা পান।