West Bengal Municipal Election 2021: বাইশের ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন

Municipal Election: বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোট হবে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা।

West Bengal Municipal Election 2021: বাইশের ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2022 | 5:32 PM

কলকাতা: একদিকে রাজ্যের কোভিডগ্রাফ ছুটছে। তারই মধ্যে আবার চার পুরনিগমের ভোট। জোর কদমে চলছে সেই ভোটের প্রস্তুতিও। এবার পুরভোট নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। দু’দফায় বৈঠক হবে।

বুধবার দুপুর ২টোয় এই বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। সেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তো থাকবেনই। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি। এরপর ফের বিকেলে বৈঠক। সেই বৈঠকে থাকবেন পাঁচজন বিশেষ পর্যবেক্ষক বা স্পেশাল অবজারভার। আসানসোল পুরনিগমের দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষক, চন্দননগর পুরনিগমের একজন, শিলিগুড়ির একজন এবং বিধাননগরের একজন।

এছাড়াও বিকেলের বৈঠকে থাকবেন সাধারণ পর্যবেক্ষকরাও। এর মধ্যে রয়েছেন আসানসোলের পাঁচজন, শিলিগুড়ির দু’জন, বিধাননগরের তিনজন এবং চন্দননগরের দু’জন পর্যবেক্ষক। অর্থাৎ মোট ১২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষককেই বুধবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে থাকবেন জেলাশাসক, স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিনিধি।

বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোট হবে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে। শিলিগুড়িতে মোট ৪৭টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ৪২১টি। ভোটার ৪,০২,৮৯৫। চন্দননগর পুরনিগমে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড। ১৬৯টি পোলিং স্টেশন। ভোটার সংখ্যা ১,৪৪,৮৩৯। বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। ৪৬৮টি পোলিং স্টেশন। ভোটার ৪,৪৬,৬৪০। আসানসোল পুরনিগমে ১০৬টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ১০২০। ভোটার সংখ্যা ৯,৪২,০৮৮।

এই বিপুল সংখ্যক ভোটার নিয়ে এই মুহূর্তে ভোট করা কতটা সমীচীন তা নিয়ে একটা প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠেছে। কারণ, কলকাতা পুরভোটের পর এখানকার সংক্রমণের চিত্রটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাজ্যে একদিনের সংক্রমণ ৬ হাজার পার করে গিয়েছে। বাড়ছে পজিটিভিটি রেটও।

এর আগে কোভিড বিধি মেনে কীভাবে ভোট হবে তার জন্য একটি বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, কোন রোড শো কিংবা পদযাত্রা নয়। গত পুরসভায় ৪টে পর্যন্ত রোড শো ছিল। এবার গাড়ি, বাইক র‍্যালি সব বাদ। এক্ষেত্রে আগে অনুমতি নেওয়া থাকলেও রোড শো বাতিল করতে হবে।

প্রতি পুরসভায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার- সকলেরই ডবল বা সিঙ্গল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। বাড়িতে প্রচারে প্রার্থী-সহ পাঁচের বেশি অনুমতি নেই। খোলা মাঠে মিটিং ৫০০-র বেশি জনসমাগম নয়। প্রবেশ ও প্রস্থানের আলাদা গেট। অডিটোরিয়াম হলে ২০০ জন সর্বাধিক। কিংবা আসন সংখ্যার অর্ধেক অনুমতি পাবেন। প্রচারের সময় কমানো হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার। সাইলেন্স জোন বাড়িয়ে হচ্ছে ৭২ ঘণ্টা।

আরও পড়ুন: Covid Spike: এবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে করোনার থাবা! ২৫ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী পজিটিভ