Panchayat Elections 2023: ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে থাপ্পড় পুলিশের! ভাইরাল ভিডিয়োয় অভিযোগ খোদ ওসি-র বিরুদ্ধে
Panchayat Elections 2023: পরিবারের দাবি, শুভঙ্করের বিরুদ্ধে বোমা মারার মিথ্যা অভিযোগ আনে পুলিশ। এই অভিযোগেই চড়া হয় অসুস্থ ওই প্রার্থীর ওপর। এরপর চলে মারধর।
ঝাড়গ্রাম: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের স্তাবকতা করার অভিযোগ বিরোধীরা বারবারই তুলেছে। তবে সোমবার ঝাড়গ্রামে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল খোদ ওসি-র বিরুদ্ধে। ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে চড় মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অসুস্থ অবস্থায় ওই প্রার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেই চড় মারার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আহত প্রার্থীর পরিবার ও বিজেপি নেতৃত্ব। ওসি-র বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের তুঙ্গাধুঁয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আহত বিজেপি প্রার্থীর নাম শুভঙ্কর মাহাতো। জেলা পরিষদ ১১ নম্বরের প্রার্থী তিনি। তাঁর পরিবারের দাবি, শুভঙ্করের বিরুদ্ধে বোমা মারার মিথ্যা অভিযোগ আনে পুলিশ। এই অভিযোগেই চড়া হয় অসুস্থ ওই প্রার্থীর ওপর। এরপর চলে মারধর। খোদ সাঁকরাইল থানার ওসি সাইফুদ্দিন খন্দকার মারধর করেছেন বলে দাবি পরিবারের। তাঁরা বলছেন, উনিই তো ওসি, কোথায় আর আমরা অভিযোগ জানাব!
শুধু তাই নয়, আক্রান্ত প্রার্থীর পরিবারের আরও অভিযোগ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপি প্রার্থীকে বারবার চাপ দিচ্ছিলেন ওসি। রাতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল, এমনটাও জানিয়েছেন আহত প্রার্থীর এক আত্মীয়। বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ।
বিজেপির তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডুর দাবি, ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এতদিন ধরে ওই ওসি একই থানায় কীভাবে আছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়াতেই একই জায়গায় আছেন। প্রার্থীদের ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তবে তৃণমূলের দাবি, বিষয়টা প্রশাসনিক স্তরের। তাই এই নিয়ে দলের কিছু বলার নেই। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রসূন সারঙ্গী বলেন, “সাঁকরাইলে আমরা অনেক বেশি শক্তিশালী। আমাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রশাসন বলবে কী হয়েছে।” তবে জেলা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”