West Bengal Panchayat Elections 2023: সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন দিলেন আর নির্বাচনী আধিকারিকরা দেখলেনই না? মিনাখাঁর শাসক প্রার্থীর মনোনয়নে বিস্মিত বিচারপতি
West Bengal Panchayat Elections 2023: মামলকারীর দাবি, এই মনোনয়ন অবৈধ। কারণ পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের সামনে প্রার্থীকে সই করে লিখিত দিতে হয়। এক্ষেত্রে তা হয়নি। এরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
কলকাতা: সৌদি আরবে বসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার ঘরে। সৌদি আরবে বসে কীভাবে মনোনয়ন? সেই কথা শুনেই রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, নির্বাচনী আধিকারিকরা দেখলেনই না আদৌ প্রার্থী এসেছেন কিনা!
মিনাখাঁয় শাসকদলের প্রার্থী হয়েছেন মহারুদ্দিন গাজি। তাঁর বিরুদ্ধে সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এদিন মামলার শুনানিতে সওয়াল জবাবের সময়ে প্রার্থীর আইনজীবী জানান, আদতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কেউ অসম্মতি জানাননি। নিয়ম অনুসারে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র স্বাক্ষর করেছেন। তার প্রস্তাবক নিজে গিয়ে জমা দিয়েছেন। তখনই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে স্ক্রুটিনির সময় কেউ প্রশ্ন তোলেননি। সেই সময়ে কেউ দেখলেন না! বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচনী আধিকারিকরা কেউ দেখলেন না ওই সই প্রার্থীর কিনা?
মামলাকারীর আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, প্রার্থী ৪ জুন হজ করতে চলে গিয়েছেন। ‘ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া’র আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে উল্লেখ করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের সামনে এসে প্রার্থীকে লিখিত দিতে হয়, যে তিনি সশরীরে এসে সাক্ষর করেছেন।
বিচারপতি এরপরই বলেন, “মহারুদ্দিন গাজির মনোনয়ন চ্যালেঞ্জ করেছেন মামলকারী।” মামলাকারীর আইনজীবী জানান, মহারুদ্দিন ৪ জুন হজ করতে গিয়েছেন। ১৬ জুন ফেরার কথা। মামলাকারী সেক্ষেত্রে হজ কমিটির ওয়েবসাইট থেকে সেই তথ্য আদালতে পেশ করেন। সেই সঙ্গে দিয়েছেন প্রার্থীর ফ্লাইট ডিটেইলও।
মামলকারীর দাবি, এই মনোনয়ন অবৈধ। কারণ পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের সামনে প্রার্থীকে সই করে লিখিত দিতে হয়। এক্ষেত্রে তা হয়নি। এরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
তখন কেন্দ্রের তরফে’ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া’র আইনজীবী বলেন, “এই তথ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে এই সংস্থা। তারা রিপোর্ট দেবে।” শুক্রবার আবারও এই মামলার শুনানি।