Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aamir Khan: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান, ভারতীয়দের জন্য দিলেন বার্তা

Aamir Khan: মুক্তির পর থেকেই ছবিটির পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য প্রতিদিনই সামনে আসছে। পরিচালককে দেওয়া হয়েছে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।

Aamir Khan: 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান, ভারতীয়দের জন্য দিলেন বার্তা
'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2022 | 3:34 PM

একটা ছবি, শুধু ছবি নয়। কারও মতে সত্য প্রতিস্থাপন। আবার কারও মতে সাম্প্রদায়িক উস্কানির কেন্দ্রস্থল। কথা হচ্ছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। যাকে নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা চলছে গোটা ভারত জুড়ে। ১৯৯০ সালে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পন্ডিতদের এক রাতের মধ্যে উচ্ছেদের পটভূমিকায় গঠিত ছবিটি। ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে স্বল্প বাজেটে তৈরি এই ছবি। এবার ছবি নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান। জানালেন ছবি সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব কিছু বিশ্লেষণ।

এক সাংবাদিক বৈঠক আমিরকে কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই এই ছবি দেখব। ইতিহাসের এক অধ্যায় রয়েছে যা মন খারাপ করে দেয়। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের সঙ্গে যা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। এই বিষয়ে যে কোনও ছবিই প্রতিটি ভারতবাসীর দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।” এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও বলেন, “যে সব মানুষ মনুষ্যত্বে বিশ্বাস করেন তাঁদের প্রত্যেককে এই ছবি ছুঁয়ে গিয়েছে। ছবিটি সাফল্য পেয়েছে, আমি ভীষণ খুশি।”

মুক্তির পর থেকেই ছবিটির পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য প্রতিদিনই সামনে আসছে। পরিচালককে দেওয়া হয়েছে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। তাঁর দাবি, তিনি খুনের হুমকি পাচ্ছেন ক্রমাগত। এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এই ছবি পক্ষেই মুখ খুলেছেন, অন্য দিকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের এই ছবি নিয়ে ব্যক্তি ও দল বিশেষে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে। মুখ খুলেছেন ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, এই ছবিতে প্রচুর মিথ্যা তথ্য রয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে “এটা যদি কোনও তথ্যচিত্র হত তবে কোনও সমস্যা নেই, তবে ছবির নির্মাতারাই দাবি করেছেন সত্যের ওপর নির্ভর করেই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই ছবিতে অনেক মিথ্যা দেখান হয়েছে এবং সবথেকে বড় মিথ্যা এটাই যে এখানে যে সময়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়ছে, সেই সময়ে কাশ্মীরে ন্যাশানাল কনফারেন্সের সরকার ছিল।” ওমর বলেন, “ছবিতে দেখান হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারের সময় আমাদের দল সরকারে ছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালে ন্যাশানাল কনফারেন্স ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু সেই সময় বিজেপির সমর্থনের থাকা প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিংয়ের প্রতিনিধি তথা রাজ্যপালের হাতে রাজ্যের শাসনভার ছিল।”

অন্যদিকে দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিনেমাটির দেখার পক্ষে মুখে খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারী জামাতরা ক্ষেপে রয়েছে বিগত পাঁচ – ছয় দিন ধরে। তথ্য ও সত্যের ভিত্তিতে সিনেমাকে মূল্যায়ন না করে, এটিকে খাটো করার জন্য এক প্রচার চলছে। পুরো ব্যবস্থাটাই এমন যে কেউ সত্য দেখানোর চেষ্টা করে, তার বিরোধিতা করে। তারা (দ্য কাশ্মীর ফাইলস) সত্য হিসাবে যা দেখতে চায়, তা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। সত্য কেউ যাতে না দেখে, সে জন্য গত কয়েকদিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে।”

পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা কথা, তবে বক্স অফিসে এই ছবি রীতিমতো ঝড় তুলেছে। প্রচার সেভাবে হয়নি, তবু দর্শক উৎসাহী। বক্স অফিসে দুশো কোটি আর বেশি দূরে নয়।