Big Breaking: ‘নো মিনস নো’, অমিতাভের কণ্ঠস্বর, ছবি, নাম যত্রতত্র ব্যবহারে এবার নিষেধাজ্ঞা
Amitabh Bachchan: অমিতাভ বচ্চনের নাম, ছবি বা ভয়েস তাঁর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না, আজ অভিনেতার আবেদনের শুনানি করে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছে।
কণ্ঠস্বরেই পরিচিতি। এই প্রসঙ্গ উঠলেই মনে পড়ে যায় সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে কালজয়ী গান: ‘মেরি আওয়াজ় হি পেহেচান হ্যায়…’ যদিও সেই পরিচয় রাতারাতি তৈরি করা সম্ভবপর নয়। এ এক লম্বা সফর। ভারী, বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর থাকে অনেকেরই, তার মধ্যে কতজনকেই বা মানুষ মনে রাখে!
কঠিন ব্যক্তিত্ব কিংবা চোখে পড়ার মতো উচ্চতা নিয়ে ১৯৫০-এর দশকে যে মানুষটি একচিলতে অভিনয়ের সুযোগ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখন তাঁর প্রথম ব্রেক এসেছিল কণ্ঠস্বরের সৌজন্যেই। পরিচালক মৃণাল সেন যেন ভবিষ্যৎ দেখেছিলেন তাঁর কণ্ঠে। ছবির নাম ‘ভুবনসোম’, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ছিল যাঁর ব্যারিটোন ভয়েস, তিনি অমিতাভ বচ্চন। সেই কণ্ঠস্বর আজও ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম সম্পদ।
সত্যিই কি তাই? আজ অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠস্বর শোনা যায় যত্রতত্র। তাঁর ছবি (ইমেজ)-ও দেখা যায় এখানে-সেখানে। তবে এভাবে তাঁকে ‘পাবলিক প্রপার্টি’ পরিণত করে তোলায় এবার আপত্তি জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। অমিতাভ বচ্চনের নাম, ছবি বা কণ্ঠস্বর তাঁর আইনি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। আজ, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর অভিনেতার আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। তারপরই এই রায় আদালতের।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারীদের উদ্দেশেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি নবীন চাওলার বলেন, “যে কোনও সংস্থা তাদের পণ্য ও পরিষেবার প্রচারের স্বার্থে তারকাদের ‘সেলিব্রিটি স্টেটাস’ ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট তারকার অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।”
বিগ-বির বয়স এখন ৮০ বছর। তিনি নিজেই এই মর্মে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, এক ব্যক্তির ‘নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর এবং ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি’ রক্ষা করার জন্য। উল্লেখ্য, কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আবেদন করেননি। ‘বৃহত্তর স্বার্থ’-এই তাঁর এই আবেদন। তাঁর সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই এ দিনের নির্দেশ। ৮০-তে পৌঁছেও ‘উঁচাই’-এ নিজের স্টারডম ধরে-রাখা বিগ-বিরর অনুমতি ছাড়া এবার থেকে আর তাঁর কণ্ঠস্বর, ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এ দিন আদালতে অমিতাভ বচ্চনের পক্ষে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে।