AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tv9 Exclusive: গাঙ্গুবাইয়ের একটা গানের জন্য ২০ বার টেক দিতে হয়েছে: আলিয়া ভাট

২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে 'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি'। নাম ভূমিকায় আলিয়া ভাট। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী। মুক্তির ঠিক আছে টিভিনাইনের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ আড্ডায় অভিনেত্রী। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে গুজরাতি খাবার, প্রেম-অপ্রেম সবই উঠে এল এই আলাপচারিতায়।

Tv9 Exclusive: গাঙ্গুবাইয়ের একটা গানের জন্য ২০ বার টেক দিতে হয়েছে: আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2022 | 2:11 PM
Share

কেমছো? (গুজরাতি ভাষায় কেমন আছ?)

মাজামা (গুজরাতি ভাষায় দারুণ)

ছবি করতে গিয়ে আলিয়া তবে গাঙ্গুর মতোই গুজরাতি শিখে গেলেন?

(হাসি) না আসলে পার্থক্য উচ্চারণে। আলিয়ার থেকে গাঙ্গুর উচ্চারণ অনেকটাই আলাদা। যেমন গাঙ্গু ‘শ’ না বলে ‘স’ বলে। ‘z’কে ‘জ’ বলে। ‘চলো’ না বলে সে বলে ‘চালো’। আর গাঙ্গুবাই তো খুব অল্প বয়সে বম্বে চলে আসে। তাই সেখানকার স্থানীয় ভাষা আর একঈ সঙ্গে গুজরাতি উচ্চারণ– দুটোই মাথায় রেখে কাজ করতে হয়েছে।

পরিচালকও কিন্তু গুজরাতি, আর গুজরাত মানেই খাবার…

(মুখের কথা কেড়ে) হ্যাঁ ধোঁকলা…

শুধুই ধোঁকলা?

না না সঞ্জয় (লীলা বনশালী) স্যরের বাড়ি থেকে অনেক খাবার আসত শুট চলাকালীন। গুজরাতিদের এক মিষ্টি ডাল হয় না, খুব পছন্দের। এ ছাড়াও খান্ডবি, থেপলা সব খেয়েছি।

আর ডায়েট? ক্যালোরির চিন্তা হয়নি!

হয় চিন্তা তবে এই ছবির সময় হয়নি। কারণ পরিচালক নিজেই এসে বলেছেন, খেয়ে দেয়ে, ‘মাস্ত’ হয়ে শুটে আয়। তাহলে আর আমার চিন্তা কী?

রিয়েল লাইফ চরিত্র গাঙ্গুবাই, দর্শক বলছে আলিয়াকে এতটা বোল্ড আগে দেখা যায়নি!

স্ক্রিপ্ট পড়ার পর জানতে পেরেছিলাম ওই নামের এক মহিলা রয়েছে। জানতাম না তাঁর ঠিকানা, পরিচয়, ব্যাকস্টোরি। সমাজ তাঁকে নিচে টানতে চেয়েছিল, তাঁর উত্থান হয়েছে হিরোইক। সত্যি বলতে এ সব আমি আগে জানতাম না। একটা বায়োপিক মানে তো শুধু মানুষটি আজাদ ময়দানে ভাষণ দিয়েছেন। নেহেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এমনটা নয়, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দরকার। দরকার সেই শৈল্পিক স্বাধীনতা। চ্যালেঞ্জ যেমন ছিল লোকের কাছে গাঙ্গুকে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও ছিল।

বনশালীর ছবি মানেই তাতে বড় বড় সেট, লার্যার দ্যান লাইফ, পরিচালকের সঙ্গে কেমিস্ট্রি জমল?

উনি ম্যাজিশিয়ান। অভিনেতা থেকে টেকনিশিয়ান থেকে দর্শক– সবার সঙ্গেই কানেক্ট করতে পারেন এমনটা মানুষ। ইংরেজিতে একটা কথা আছে ভিজুয়ালি স্পেকটাকুলার। ওঁর ক্ষেত্রে বোধহয় সেই কথাটা সাজে।

এত চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কোন জায়গা?

চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কষ্ট আসবে সেটা তো আমিও আশা করেছিলাম। আমি চেয়েছিলামও। একটা ঘটনা বলি, শেষের দিন একটা গান শুট হয়েছিল। সঞ্জয় স্যর বলে দিয়েছিলেন দু’মিনিটের গান, ‘আমি ক্যামেরা সরাব না’। যেমন আছে তেমন থাকবে। মনে হচ্ছিল যেন সাক্ষাৎ থিয়েটার। ক্যামেরার কোনও মুভমেন্ট নেই। ইমোশন থেকে সব কিছু ধরে রাখতে হচ্ছে, ওই একটা শটের মধ্যেই। ২০ বার টেক দিতে হয়েছিল গানটির জন্য।

অজয় দেবগণ কে মানুষ হিসেবে কেমন দেখলেন?

সেটেই থাকতেন সবসময়। শুধু বাথরুমে যাওয়ার জন্য উঠতেন। প্যাকআপ হওয়ার পরেও দেখেছি সিন নিয়ে ছবি নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছেন। অত বড় সুপারস্টার কিন্তু কী ডাউন টু আর্থ।

এত দিন ধরে শুট, লম্বা শিডিউল, গাঙ্গুর হ্যাংওভার কি কাটছেই না?

আমার মনে হয় হ্যাংওভার এখনও শুরু হয়নি। শেষ হওয়া তো দূরের কথা। ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ পর যখন বুঝতে পারব ছবিটা নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া তখন গিয়ে হয়তো অনুধাবন করতে পারব, “ওয়ে ছবিটা শেষ হল তবে।”।

উড়তা পঞ্জাব, রাজি, থেকে শুরু করে গাঙ্গুবাই– আলিয়ার চোখে এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা পারফরম্যান্স কোনটি?

(খানিক থেমে) হুম্মম্মম, আই থিঙ্ক গাঙ্গুবাই। সেরা কিনা সেটা তো দর্শক বলবেন তবে সবচেয়ে কঠিন– নিঃসন্দেহে এই ছবিটিই।