Jacqueline Fernandez: জ্যাকলিনকে দেওয়া সুকেশের ১০ কোটির উপহার বাজেয়াপ্ত করবে ইডি, কী কী পেয়েছিলেন অভিনেত্রী?

সুকেশের থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর অগস্ট পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। এর মধ্যে রয়েছে দুই জোড়া হীরের কানের দুল, দুটি হারমাস ব্রেসলেট, রয়েছে তিনটি বার্কিন ব্যাগ।

Jacqueline Fernandez: জ্যাকলিনকে দেওয়া সুকেশের ১০ কোটির উপহার বাজেয়াপ্ত করবে ইডি, কী কী পেয়েছিলেন অভিনেত্রী?
কী কী পেয়েছিলেন অভিনেত্রী?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2021 | 6:13 PM

সময়টা ভাল যাচ্ছে না জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। সম্প্রতি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বিপদের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। যে কারণে দেশ ছাড়তে পারবেন না জ্যাকলিন। এরই পাশাপাশি প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ এখনও পর্যন্ত জ্যাকলিনকে যা যা উপহার দিয়েছেন সেই সব উপহারই বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সংক্ষেপে ইডি। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জ্যাকলিনকে প্রায় ১০ কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন সুকেশ। কী কী রয়েছে ওই উপহারের তালিকায়, দেখে নেওয়া যাক।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুকেশের থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর অগস্ট পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। এর মধ্যে রয়েছে দুই জোড়া হীরের কানের দুল, দুটি হারমাস ব্রেসলেট, রয়েছে তিনটি বার্কিন ব্যাগ। যা শুরই হয় ভারতীয় মুদ্রায় আট লক্ষ টাকার উপরে। রয়েছে লুই ভিটোর জুতো থেকে শুরু করে দামী গাড়ি সহ অনেক কিছুই। ইডি সূত্রে খবর, নোরা ফতেহিকেও বিমএমডব্লিউ উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ, যা হস্তগত করতে চলেছে ইডি। ইডিকে দেওয়া জ্যাকলিনের বয়ান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে সুকেশকে তিনি চেনেন। তাঁর দাবি অগস্ট মাসে প্রতারণায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর সুকেশের সঙ্গে তাঁর আর কথা হয়নি। জ্যাকলিন জানিয়েছেন, সুকেশ দাবি করেছিলেন তিনি জয়ললিতার পরিবারের সদস্য ও একইসঙ্গে সান টিভির মালিক। জ্যাকলিনের ভাই যিনি অস্ট্রেলিয়া থাকেন তাঁকে প্রয়োজনে ১৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন জ্যাকলিন।

তবে শুধু জ্যাকলিন অথবা নোরার সঙ্গেই নয় তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে শিল্পা শেট্টি থেকে শুরু করে শ্রদ্ধা কাপুর, হরমন বাভেজাসহ বেশ কিছু অভিনেতার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল সুকেশের। একসময় দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেনসেস উইং সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লক্ষ টাকা, দুই কেজি সোনা, ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডির কর্তারা। তা থেকেই জ্যাকলিনের নাম সামনে আসে। জারি হয় সমনও। ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পি এম এল এ) নিরিখে বয়ানও রেকর্ড করা হয়। যদিও জ্যাকলিনের তরফে জানানো হয়েছিল সুকেশ কাণ্ডে শুধুমাত্র সাক্ষী হিসেবে তাঁকে তলব করা হয়েছে।