ইমেল-কাণ্ডে বয়ান রেকর্ড করতে ক্রাইম ব্রাঞ্চে পৌঁছলেন হৃত্বিক রোশন
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। এক মেলআইডি থেকে হৃত্বিক কঙ্গনাকে নিয়মিত প্রেমের ইমেল করতেন বলে দাবি করেন কঙ্গনা রানাউত। যদিও হৃত্বিকের তরফে জানান হয় সেটি ভুয়ো মেল অ্যাকাউন্ট।
কঙ্গনা রানাউত এবং হৃত্বিক রোশন ইমেল বিতর্ক মামলায় শনিবার মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে পৌঁছলেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কালো টি-শার্ট, কালো টুপি এবং কালো মাস্কে নিজেকে মুড়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে পৌঁছন অভিনেতা। গতকালই তাঁকে দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছিল মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখা।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। এক মেলআইডি থেকে হৃত্বিক কঙ্গনাকে নিয়মিত প্রেমের ইমেল করতেন বলে দাবি করেন কঙ্গনা রানাউত। যদিও হৃত্বিকের তরফে জানান হয় সেটি ভুয়ো মেল অ্যাকাউন্ট। হৃত্বিকের নাম-পরিচিত ব্যবহার করে কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এমনটা করছেন। হৃত্বিকের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর মক্কেলের কাছে প্রায় দেড় হাজারের মতো ইমেল এসেছে। তা অস্বীকার করে কঙ্গনার পাল্টা অভিযোগ ছিল, যে ‘ভুয়ো অ্যাকাউন্ট’-এর কথা হৃত্বিক বলছেন, তা তিনি নিজেই কঙ্গনাকে দিয়েছিলেন। ২০১৩-১৪ জুড়ে সময়টায় কঙ্গনার সঙ্গে ওই মেল মারফৎই নিয়মিত কথা হত হৃত্বিকের, দাবি করেন অভিনেত্রী। এর পরেই এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা হৃত্বিককে ‘সিলি এক্স’ বলে উল্লেখ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠান হৃত্বিক। পরস্পরকে দোষারোপের পালা চলতেই থাকে। মামলা দায়ের করা হয় ওই ‘ভুয়ো’ ইমেলের ‘মালিক’-এর বিরুদ্ধেও। এ দিন সেই মামলারই বয়ান রেকর্ড করতে এলেন হৃত্বিক।
Maharashtra: Actor Hrithik Roshan arrives at the office of Mumbai Police Commissioner. He has been summoned by Mumbai Police Crime Branch unit to record his statement in connection with 2016 complaint in fake email ID case. pic.twitter.com/T8qi4t1eMh
— ANI (@ANI) February 27, 2021
প্রসঙ্গত, শনিবার হৃতিক রোশনের মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে হাজিরা দেওয়ার খবরে চুপ থাকেননি কঙ্গনাও। হৃতিককে ফের একবার ‘সিলি এক্স’ বলে উল্লেখ করে তিনি টুইটারে লেখেন, “দুনিয়া কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু আমার সিলি এক্স এখনও একই জায়গায় আটকে রয়েছে যে জায়গায় আর কখনও ফিরে যাওয়া যাবে না।”