Amitabh Bachchan : ‘ছেলে-মেয়ের ছোটবেলা মিস করার আক্ষেপ সারাজীবন রয়ে গেল’

তিনি পেয়েছেন অনেক। ওই মায়ানগরী তাঁর প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ করেছে। আজও করে চলেছে। কিন্তু কাজের চাপে অভিষেক ও শ্বেতার ছোটবেলা মিস করা আক্ষেপ তাঁর যাবে না।

Amitabh Bachchan : 'ছেলে-মেয়ের ছোটবেলা মিস করার আক্ষেপ সারাজীবন রয়ে গেল'
অমিতাভ বচ্চন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 8:44 AM

ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে এক নামে চেনে। সম্মান করে। ফিল্মি কেরিয়ার তাঁকে দিয়েছে খ্যাতি অর্থ, যশ। কিন্তু একটি আক্ষেপ সারাজীবন রয়ে যাবে অমিতাভ বচ্চনের। তা হল ছেলে অভিষেক ও মেয়ে শ্বেতার ছোটবেলার বিভিন্ন মুহূর্ত মিস করার আক্ষেপ। নিজের চ্যাট শো কউন বনেগা ক্রোড়পতিতে তা নিয়েই মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান ওই অভিনেতা।

কেবিসি’র এক প্রতিযোগীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, কলকাতায় চাকরি করছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে হঠাৎই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তাঁর। তাঁর কথায়, “আমি কলকাতায় চাকরি করলাম। হঠাৎ করেই একদিন সব ছেড়ে ছুড়ে মুম্বই চলে আসি। কিন্তু সবাই মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়। বাতিল করে দেয়।” সে সময় বাবা তাঁকে একটি কথা বলেছিলেন, যা তাঁর আজও মনে আছে। কী সেই কথা? অমিতাভ যোগ করেন, “বাবুজি বলেন, যদি সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে যায় তো দেওয়াল ভেদ করে ঢুকে পড়া উচিত। আমি সেটাই করেছিলাম।”

তিনি পেয়েছেন অনেক। ওই মায়ানগরী তাঁর প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ করেছে। আজও করে চলেছে। কিন্তু কাজের চাপে অভিষেক ও শ্বেতার ছোটবেলা মিস করা আক্ষেপ তাঁর যাবে না। বিগ-বি বলেন, “সারাজীবন এই দুঃখ থেকেই যাবে। সকালে যখন বের হতাম ওরা ঘুমোতো। রাত্রে যখন বাড়ি ফিরতাম তখনও ওরা ঘুমিয়ে পড়ত। কারণ আমার প্রায়শই ফিরতে রাত হতো।”

এ বারের কেবিসি গত বছরের থেকে অনেকটাই আলাদা। গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে লাইভ অডিয়েন্সের সেগমেন্টটির পরিবর্তে আনা হয়েছিল ভিডিয়ো এ ফ্রেন্ড। করোনা পরিস্থিতিতে সবটাই ভার্চুয়াল। কেবিসির ঘরেও সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে আবারও লাইভ অডিয়েন্সের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, এ বারে গেম টাইমারেরও এক নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধুক ধুকি জি’। সেটও সাজানো হয়েছে এলইডি দিয়ে। ভার্চুয়াল সিলিং আর গেমপ্লে গ্রাফিক্স তাতে যোগ করেছে অন্য মাত্রা।

গত বছর অডিয়েন্স যখন ছিলেন না লাইভে মন খারাপ হয়েছিল স্বয়ং অমিতাভেরও। সে প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “প্রথম বার স্টুডিয়োতে দর্শক নেই। লাইফলাইনের অপশনেরও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।” তবে এ বারে তিনি খুশি। আবারও সেই চেনা আমেজ আর চেনা মেজাজে শাহেনশাহ। মনের আনন্দ ব্যক্ত করে দিন কয়েক আগেই অমিতাভ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ছবি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “ফিরলাম… ২০০০ সাল থেকে ওই চেয়ারটায় বসছি আমি। ২১ বছর কেটে গেল। জীবনভরের অভিজ্ঞতা। শো থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। আমার এই লুকটাও।” কেবিসি’র এই সিজনে সর্বোচ্চ পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। সোম থেকে শুক্রবার রাত ৯টায় সোনি টিভিতে দেখা যায় কেবিসি।

আরও পড়ুন- Sunny Kaushal: দাদার সঙ্গে প্রেম! ক্যাটরিনাকে নিয়ে মুখ খুললেন ভিকি কৌশলের ভাই

আরও পড়ুন- Bigg Boss 15: সলমনের বিগবসে থাকছেন না ওটিটির বিজেতা দিব্যা আগরওয়াল?