রিল-রিয়েলের যুগলবন্দী, অন্তঃসত্ত্বা নেহা এ বার ‘প্রেগন্যান্ট পুলিশ’-এর চরিত্রে

২০১৮-র নভেম্বরে প্রথম সন্তান মেহেরের জন্ম দেন নেহা। এখন তাঁর বয়স ৪০ বছর। ফলে দ্বিতীয় মাতৃত্ব নিয়ে অনেক বেশি সাবধানী তিনি। নেহার কথায়, “দ্বিতীয় মাতৃত্ব প্রথম বারের থেকে অনেকটাই আলাদা।

রিল-রিয়েলের যুগলবন্দী, অন্তঃসত্ত্বা নেহা এ বার 'প্রেগন্যান্ট পুলিশ'-এর চরিত্রে
নেহা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 9:02 AM

বাস্তবিকই মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। অন্যদিকে তাঁর আসন্ন ছবি ‘আ থার্সডে’তেও তাঁকে দেখা যাবে অন্তঃসত্ত্বা এক পুলিশের চরিত্রে। এ যেন রিল-রিয়েলের যুগলবন্দী। এক আশ্চর্য সমাপতন।

ফাঁস করেছেন নেহা নিজেই। ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্মাতাদের। তথাকথিত ট্যাবু ভেঙে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রীকে এমনই এক চরিত্রে কাস্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের। লিখেছেন, “রিল ও রিয়েলের মধ্যেকার ব্যবধান ঘুছে গিয়েছে। সব হবু মায়েদের জন্য এই ছবিটি। আমরাই আমাদের শক্তি।” ছবির লুকও শেয়ার করেছেন তিনি। একগুচ্ছ প্রশংসা কুড়িয়েছেন নেটিজেনদেরও। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে ইয়ামি গৌতমকে। পরিচালনায় বেহজাদ খাম্বাটা।

২০১৮-র নভেম্বরে প্রথম সন্তান মেহেরের জন্ম দেন নেহা। এখন তাঁর বয়স ৪০ বছর। ফলে দ্বিতীয় মাতৃত্ব নিয়ে অনেক বেশি সাবধানী তিনি। নেহার কথায়, “দ্বিতীয় মাতৃত্ব প্রথম বারের থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রথমবার অনেক প্রশ্ন ছিল মনে। এখন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর আমি জানি। তবে লকডাউনের জন্য সমস্যা অনেক বেশি। বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। মেহেরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি।”

নেহা আরও জানান, করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে জীবন অনেক বেশি অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এখন সন্তানকে পৃথিবীতে আনার আগে অনেক ভাবতে হচ্ছে মায়েদের। কিন্তু নিজে পজিটিভ থাকলে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন তিনি। মেহের যে দিদি হতে চলেছে, তা নাকি মেয়েকে বুঝিয়েছেন নেহা। তাঁর কথায়, “আমি ওকে বাচ্চাদের ছবি দেখাই। ও জানে, আমাদের বাড়িতেই একটা বেবি আসবে। একটা নামও ঠিক করেছে। ওর কোন কোন খেলনাগুলো তাকে দেবে, সেটাও ঠিক করেছে মেহের।”

মেহেরকে যেমন ক্যামেরা থেকে দূরে রাখেন এই দম্পতি, দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। কেন মেহেরের মুখ প্রকাশ্যে শেয়ার করেন না, সে প্রসঙ্গে অঙ্গদ কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ভবিষ্যতে ও যখন বুঝতে শিখবে, নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তখন যদি ও চায় ওর ছবি প্রকাশ হোক, তখন হবে। কিন্তু এখনও ওর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বয়স হয়নি। সে কারণে আমরা ওর অনুমতি ছাড়া ওর ছবি প্রকাশ করতে পারব না।”

অঙ্গদ আরও জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনেই এমন পেশার সঙ্গে যুক্ত যে তাঁদের উপর লাইমলাইট থাকবে সব সময়। ব্যক্তিগত পছন্দেই এই পেশা বেছে নিয়েছেন তাঁরা। স্টার কিড হওয়ার কারণে মেহেরের উপরও লাইমলাইট থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা তার পছন্দ নাও হতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত মেহেরকেই নিতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে কোনও ছবি ভুল কারণে ব্যবহার করার প্রবণতাও রয়েছে। সেটাও আটকানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি। আপাতত নতুন অতিথির অপেক্ষায় তাঁরা। সঙ্গে রয়েছে কাজ, সংসার, ব্যস্ততা।