SSR Death: ‘৪৭৪৭’… দেখা মিলল সুশান্তের সেই গাড়ির, নতুন করে হৃদয় ভাঙল ভক্তদের
Sushant Singh Rajput: প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও একবার ঘনিয়ে ওঠে।
সুশান্ত সিং রাজপুত চলে গিয়েছেন। তবু স্মৃতি বড় দায়। আর সেই স্মৃতির টানেই ফের একবার আবেগে ভাসলেন অভিনেতার ভক্তরা। সুশান্তের সেই রেঞ্জ রোভারকে দেখতে পেয়েই চোখে জল তাঁদের। ভিডিয়ো শেয়ার করে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে দিতেই চোখ ভিজল বাকিদেরও। কোথায় খোঁজ মিলল তাঁর সেই গাড়ির? সুশান্ত ছিলেন বিহারের পাটনার ছেলে। তিনি চলে যাওয়ার পর বাড়ির পাশেই এক জায়গায় গাড়িটি রাখা রয়েছে। দামী গাড়ি হলেও তা আর ব্যবহার করেননি তাঁর আত্মীয়রা। এখানেই শেষ নয়, ওই জায়গাতেই একপাশে রাখা রয়েছে সুশান্তের ছবিও। সুশান্ত যেন না থেকেও রয়েছেন সেখানে প্রতি কোণায়। যে ছবিটি রাখা রয়েছে সেটি হাতে আঁকা। সামনে রাখা ফলও। ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই সুশান্তকে মনে করেছেন সকলে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও একবার ঘনিয়ে ওঠে। যে হাসপাতালে সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল, সেই হাসপাতালে মর্গের কর্মী রূপকুমার শাহ টিভিনাইন মরাঠির কাছে দাবি করেছিলেন, সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, তিনি খুন হয়েছেন। ওই ব্যক্তি বলেন, “সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দিন আমাদের কাছে ময়নাতদন্তের জন্য পাঁচটি দেহ এসেছিল। জায়গাটি ছিল কুপার হাসপাতাল। ওই পাঁচটি দেহের মধ্যে আমরা জানতে পারি, একটি ভিআইপি। ময়নাতদন্তের সময় দেখি তা সুশান্তের দেহ। ওর গায়ের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকি ঘাড়েও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পারি আমরা।”
View this post on Instagram
তাঁর আরও দাবি, “যদিও ওই ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো করতেও আমাদের বারণ করা হয়, উপর মহল থেকে শুধুমাত্র ছবি তুলে রাখতে। তাঁদের নির্দেশে তেমনটাই করি আমরা।” ওই ব্যক্তি যোগ করেন, বারংবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তাঁকে ‘নিয়ম মেনে কাজ’ করতে বলা হয়। তাঁর কথায়, “যখন প্রথম বার ওঁর নিথর দেহ দেখি তখন আমার সিনিয়রদের জানিয়েছিলাম আত্মহত্যা নয়, খুন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই আমার কথা শোনা হয়নি। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব আমাকে কাজ শেষ করে অভিনেতার দেহ পুলিশকে হস্তান্তর করতে বলে।” সুশান্ত কীভাবে মারা গিয়েছেন, সে কারণ নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য সামনে এসেছে। কখনও বয়ান বদলে গিয়েছে, আবার কখনও উঠেছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও। সত্যি কী? তা জানতে আজও উদগ্রীব তাঁর ভক্তরা।