সুরকার উপল সেনগুপ্ত, গীতিকার অনিন্দ্য-চন্দ্রিল, আবার কোন ছবিতে একসঙ্গে চন্দ্রবিন্দু?
বহু বছর পর আবার একসঙ্গে চন্দ্রবিন্দু। বিরসা দাশগুপ্তের ‘০৩৩’ এবং নীতিশ রায়ের ‘গোঁসাই বাগানের ভূত’-এর পর নতুন একটি ছবিতে সঙ্গীতের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন চন্দ্রবিন্দু ‘ট্রায়ো’।
বহু বছর পর আবার একসঙ্গে চন্দ্রবিন্দু। বিরসা দাশগুপ্তের ‘০৩৩’ এবং নীতিশ রায়ের ‘গোঁসাই বাগানের ভূত’–এর পর নতুন একটি ছবিতে সঙ্গীতের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন চন্দ্রবিন্দু ‘ট্রায়ো’। ছবির নাম ‘তরুলতার ভূত’।
‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’–এর পর সুরকার হিসাবে আবার কাজ করছেন উপল সেনগুপ্ত। ছবির জন্য গান লিখছেন অনিন্দ্য–চন্দ্রিল। ফোনে উপল সেনগুপ্তকে ধরা হলে তিনি বলেন “ অনেক বছর পর আবার সুরকার হিসাবে কাজ করছি। গান লিখছে চন্দ্রিল–অনিন্দ্য। একসঙ্গে চন্দ্রবিন্দু টিম আবার কাজ করছি। স্ক্রিপ্টটা খুব ইন্টারেস্টিং। পরিচালক দারুণ লিখেছেন। ছবিতে চারটে গান থাকছে। এর মধ্যে দু’টো গান তৈরি হয়ে গিয়েছে। আরও দু’টো এখনও বাকি।”
‘তরুলতার ভূত’–এ রহস্য আছে। তবে গা–ছমছম রহস্য নয়। রহস্যের মাঝে মিশে আছে সেন্স অফ হিউমর। একটা গোটা দিনের গল্প ‘তরুলতার ভূত’। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা পিকনিকে যায় একটি গ্রামে। সেই গ্রামের মানুষদের সঙ্গে আলাপও হয় তাঁদের। তারপরেই ঘটতে থাকে একটার পর একটা ঘটনা। সেইসব ঘটনা ঘিরেই ছবিতে রহস্যের জাল তৈরি হয়।
‘তরুলতার ভূত’–এ থাকছে ‘অনসম্বল কাস্ট’। মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ইশা সাহা, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। নিজের চরিত্র সম্পর্কে ইশা বলেন “ আমি ছবিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ত্রীর বোনের মেয়ে। সংস্থার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আমিও পিকনিকে যাই। পিকনিকে গিয়ে নানা রকম ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু এখনই বলতে পারব না।” ‘তরুলতার ভূত’–এ কি ভূত থাকছে? উত্তরে বাসবদত্তা বলেন “ তা এখনই বলা যাবে না। এটাই ছবির রহস্য।” নিজের চরিত্র সম্পর্কে তিনি বলেন “ আমার চরিত্রের নাম মনোরমা। যে গ্রামে সবাই পিকনিক করতে আসে, আমি সেই গ্রামেরই মেয়ে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।”
আরও পড়ুন :শীতের সাঁঝবেলায় ‘ভাইফোঁটা’ নিতে কেন ‘সাঁঝবাতি’-র প্রযোজকের বাড়ি গেলেন দেব?
‘তরুলতার ভূত’ পরিচালনা করছেন একজন নবাগত পরিচালক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সরস্বতী পুজোর পর থেকেই ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা। বর্ধমান, গুসকরা এবং কলকাতার কিছু অংশে হবে ছবির শুটিং।