Honeymoon Fund: বিয়েতে আমন্ত্রিতদের কাছে হানিমুনের ‘ফান্ড’ চাইলেন কনে, প্রতিশ্রুতি অফুরান মদ্যপানের

Marriage Story: বিয়ের যাবতীয় খরচ আমরা নিজে করছি। তার জন্য কারোর কাছে হাত পাতিনি। লোকের ফূর্তির টাকা আমরা দেব কেন...

Honeymoon Fund: বিয়েতে আমন্ত্রিতদের কাছে হানিমুনের 'ফান্ড' চাইলেন কনে, প্রতিশ্রুতি অফুরান মদ্যপানের
হানিমুনের জন্য রিসেপশনে ক্রাউড ফান্ডিং করলেন এই দম্পতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 1:02 AM

বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই এখন প্রচুর খরচ। বিয়েও এখন যেন ছোটখাটো ফেস্টিভ্যাল। মেহেন্দি, সংগীত, হলদি, মূল বিয়ের অনুষ্ঠান, রিসেপশন- প্রায় একসপ্তাহ দেখতে দেখতে এভাবেই কেটে যায়। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য আলাদা পোশাক, থিম, মেন্যু, ডেকোরেশন, মেকআপ আর অতি অবশ্যই ফটোগ্রাফি- সব মিলিয়ে একটা বড় অঙ্কের টাকা খসে। বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই বাড়িতে অতিথি আত্মীয়ের সমাগম। তাঁদের সকলের আপ্যায়নের একটা খরচ তো আছেই। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে মধ্যবিত্তের পকেটে ভালই টান পড়ে। সোনার দাম তো প্রতিদিনই বাড়ছে। আর এই গ্রাফ যে ভাবে চড়ছে তাতে অল্প দিনের মধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছে সোনা কেনা একরকম স্বপ্নই থেকে যাবে। এরপর নতুন সংসার, হানিমুন তার জন্যেও একটা বাজেট রাখতে হয়। সব দিক বিচার করে হবু কনে তাই নিজের বিয়েতে হানিমুনের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং এর পরিকল্পনা করেছেন।

যদিও ব্যাপারটি বেশ অভিনব। অর্থাৎ আমন্ত্রিতদের বাধ্যতামূলক ভাবে ৮০০ টাকা করে প্রবেশমূল্য দিতে হবে। তবেই তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। এই ৮০০ টাকা চলে যাবে নবদম্পতির হানিমুন ফান্ডে। আর এই ৮০০ টাকার বিনিময়ে অতিথিরা আকন্ঠ মদ্যপান করতে পারবেন। তবে বারটেন্ডারদের ৪০০ টাকা করে টিপস দিতেই হবে। এই ৪০০ টাকা ধরা হয়েছে প্রথম পানীয়ের জন্য। একবার ৪০০ টাকা দিয়ে আপনি মন ভরে যত খুশি মদ খান। এর জন্য অতিরিক্ত কোনও পয়সা কিন্তু দিতে হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন হবু কনে। সেখানেই তিনি লেখেন, সঙ্গীর সঙ্গে পুরোটা প্ল্যান করেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। দুজনেই নিজেদের পয়সা জমিয়ে বিয়ে করছেন। আর তাই রিসেপশনে অতিথিদের দন্য তাঁরা সারারাত ব্যাপী খানা-পিনার আয়োজন রাখছেন। যাঁরা আসবেন তাঁদের সকলকে ৮০০ টাকা দিয়েই খেতে হবে। যাঁরা আসবেন না, তাঁরা খাবেন না। অহেতুক খরচা করে বিয়েতে সকলকে খাওয়ানোটা তাঁদের পছন্দ ছিল না। আর তাই এমন ব্যবস্থা রেখেছেন। যে সব অতিথিরা ফূর্তি করতে চাইবেন, সেই পয়সাটা তাঁদেরই দিতে হবে। এমন প্রস্তাবে ওই তরুণীর বাড়ির লোকেরাই তাঁকে স্বার্থপর বলেছিল। সেই সঙ্গে অনেকে ঘুরিয়ে এই প্রশ্নও করেছিল যে, তিনি কি হানিমুনের পয়সা অন্যদের থেকে আদায় করতে এমন পন্থা নিয়েছেন? উত্তরে ওই তরুণী জানান, ‘না। বিয়ের যাবতীয় খরচ আমরা নিজে করছি। তার জন্য কারোর কাছে হাত পাতিনি। লোকের ফূর্তির টাকা আমরা দেব কেন। খোলা আকাশের নীচে আকন্ঠ মদ্যপানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তাঁদের শুধু প্রবেশ মূল্য দিতে হবে। এবার যাঁর পছন্দ নয় তিনি আসবেন না। এতে খারাপ লাগার বা অভিযোগ করার কোনও জায়গা নেই’।