Tarun Bhattacharya: সঙ্গীত নাটক অ্যাকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত সন্তুর বাদক পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য
Tarun Bhattacharya: র্যাপ-রিমিক্সের যুগে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কি শুধুই একটি বয়সের দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ? নিউএজের কি তাতএ অনীহা? এ নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। ত
বাঙালিদের জন্য এ বড় গর্বের দিন। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হলেন সন্তুর বাদক পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কায়া নাইডুর কাছে থেকে নয়া দিল্লিতে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন কিংবদন্তী এই সন্তুর বাদক। পুরস্কার পেয়ে তিনি খুশি তবে দর্শকের ভালবাসাই যে তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, সে কথা জানাতে ভুললেন না তিনি। টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে কথাও বললেন এক্সক্লুসিভলি।
তিনি বলেন, “আমার গুরু পন্ডিত রবিশঙ্করজি বলতেন, পুরস্কার তখনই পাওয়া যায় যখন সামনে বসে থাকা দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। দর্শক যখন হাততালি দিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই হয়তো আমাদের প্রধান পুরস্কার। আর এই যে পুরস্কার পেলাম তা হল আমার কৃষ্টিকে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাদেমি স্বীকৃতি দিল। তা নিঃসন্দেহে আমার কাছে আনন্দের।”
র্যাপ-রিমিক্সের যুগে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কি শুধুই একটি বয়সের দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ? নিউএজের কি তাতএ অনীহা? এ নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। তরুণ ভট্টাচার্যের কথায়, “যখন নতুন প্রজন্মের সামনে অনুষ্ঠান হয় তখন ওদের মধ্যে কিন্তু অসম্ভব উৎসাহ আমি নিজে দেখেছি। এর পর কোথায় কীভাবে শিখব সেই বিষয়েও নানা প্রশ্ন ওদের করতে দেখেছি”। তবে তাঁর মতে সমস্যা অন্য জায়গায়। পণ্ডিতজি যোগ করেন, “বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ক্লাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে আগ্রহ কমেছে। না টিভিতে সেভাবে শো হয়, না কোনও খবরের কাজে ক্ল্যাসিকাল মিউজিকের জন্য আলাদা করে পৃষ্ঠা থাকে। তাই আমাদের উচিত নতুন প্রজন্মের মধ্যে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের যে স্বাদ সেই স্বাদের বীজ বপন করা।”
পণ্ডিত রবিশঙ্করের ছাত্র ছিলেন পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য। যদিও সন্তুর শেখা বাবা রবি ভট্টাচার্যের হাত ধরে। ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। তাঁর সুরের মূর্ছনায় বোল ওঠে হৃদয়েও। পুরস্কারে তিনি খুশি তবে তাঁর চোখে দর্শকের ভালবাসাই সবচেয়ে দামী অর্ঘ্য।
আরও পড়ুন- চৈতালি সন্ধেতে রবীন্দ্রনাথের ভাঙনের গান ও সৌমিত্রর নাটক