Jhilam Gupta: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’কে বাংলা সিরিয়ালের সঙ্গে তুলনা করলেন ঝিলম গুপ্ত, খুঁজে পেলেন সাংঘাতিক মিল

Brahmastra: এই ছবিকে তিনি বলেছেন 'ঝালমুড়ি'। দেখুন তাঁর মজাদার রিভিউ।

Jhilam Gupta: 'ব্রহ্মাস্ত্র'কে বাংলা সিরিয়ালের সঙ্গে তুলনা করলেন ঝিলম গুপ্ত, খুঁজে পেলেন সাংঘাতিক মিল
'ব্রহ্মাস্ত্র' নিয়ে কী বললেন ঝিলম গুপ্ত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 2:26 PM

‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখে এসে অনেকেই নিজেদের রিভিউ জানিয়েছেন। কেউ মুগ্ধ হয়েছেন। কেউ-কেউ আবার সমালোচনাও করেছেন এই ছবির। সেই সব রিভিউয়ের মধ্যে নজর কেড়েছে ইউটিউবার ঝিলম গুপ্তর রিভিউ। তিনি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’কে বাংলা সিরিয়ালের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই ছবিকে তিনি বলেছেন ‘ঝালমুড়ি’।

ঝিলম গুপ্তর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ রিভিউ:

“মার্ভেলের আছে মাল্টিভার্স। আর আমাদের আছে ‘অস্ত্রভার্স‘। কারণ, আমাদের কাছে আছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ৮-১০ বছরের মধ্যে একটা মানুষের বিয়ে হয়ে, তার বাচ্চা হয়ে সেই বাচ্চা বড়ও হয়ে যায়। কিন্তু অয়ন মুখোপাধ্যায়, অর্থাৎ ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র পরিচালক এই রকমই একটি সময় নিয়েছিলেন এই ছবির রিসার্চ ও মেকিংয়ের জন্য। তাই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ যে একখানা ‘ঝিকিমিকি টুম্পা’ সিনেমা হবে, এই নিয়ে লোকের অনেক আশা ছিল। এবার জানাই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে আমার মতামতটা ঠিক কী?

‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটাকে আমি যদি কোনও খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে সবচেয়ে ভাল তুলনা করা হবে ঝালমুড়ির সঙ্গে। ঝালমুড়িতে যেমন অনেককিছু থাকে, ঠিক এই সিনেমাতেও আছে অনেক রকমের উপাদান। যেমন – প্রেম, হিন্দি মাইথোলজি এবং কল্পবিজ্ঞান

সিনেমা শুরু হয় শিবা ও ইশার প্রেম দিয়ে। কিন্তু শিবা যে কখন ইশার প্রেম ছেড়ে অস্ত্রশস্ত্র খুঁজতে একেবারে কর্ডলাইনে গিয়ে ট্রেন ধরতে চলে যাবে, আপনি ধরতে পারবেন না। এই ছবিতে ব্রহ্মাংশ নামের একটি হেব্বি গুপ্ত সংগঠন আছে। যে সংগঠনের ব্যাপারে, এই ঝিলম গুপ্ত, চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত কেউই জানত না। কারণ, চাইলেই এই গুপ্ত সংগঠনের মেম্বার যে কেউ হতে পারেন না। তাঁরাই হতে পারেন, যাঁরা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন।

…এবার প্লিজ় ভাববেন না ‘বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন লোক’ বলতে আমি রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলছি। নাহ্… আমি সেই সব লোকেদের কথা বলছি, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রচীন দৈবিক ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্রশস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।

এই গুপ্ত সংগঠনের চেয়ারম্যান হলেন অমিতাভ বচ্চন। এই সিনেমায় তাঁর নাম হয়েছে গুরুজি। আদতে গুরুজি হলেও এখানে তিনি সেই ‘মহব্বতে’ সিনেমার বখাটে ইস্কুলের অবুঝ প্রিন্সিপালটি নন। এই গুরুজি কালো জোব্বা পরে কথায়-কথায় পরম্পরা, প্রতিষ্ঠান, অনুশাসনের মতো এই সব কঠিন-কঠিন কথা একদমই বলেন না।

এছাড়া, এই গুপ্ত সংগঠনের অনেক গুপ্ত-গুপ্ত ব্যাপার আছে। কিন্তু সেই সমস্ত কথা যদি ঝিলম গুপ্ত দিয়ে দেয়, তা হলেস্পয়েলার দিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সেই সব অংশ আমি বাদই রাখছি।

আপনারা কী জানেন, বাংলা সিরিয়ালের সঙ্গে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিরিয়ালের মিল কোথায়? দুটো জায়গাতেই ভিলেন একজন মহিলা। এই সিনেমায় ভিলেন হয়েছেন মৌনী রায়। হ্যাঁ, আমাদের বাঙালি মেয়ে মৌনী এবং তাঁর নাম হয়েছে জুনুন। তিনি বেশ ভাল অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন। মৌনীকে স্ক্রিনে দেখে আপনি একেবারেই মৌন থাকতে পারবেন না। আপনাকে বলতেই হবে ‘ওরে শাবাশ…’

এবার চলে আসি নায়ক-নায়িকার অ্যাক্টিং প্রসঙ্গে। আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরকে কিন্তু এই সিনেমায় কাপল হিসেবে খুব কিউট লেগেছে। আর দুর্দান্ত সিনেম্যাটোগ্রাফি এই সিনেমায় যোগ করেছে গরম মশলার মতো আদালাই ঝাঁঝ।

গানের কথা যদি বলি, তা হলে বলি ‘কেশরিয়া’ ছাড়া সব গানই মেশিন গান। কারণ সেই গানগুলো শেষ হলে গেলে আর মনে থাকে না। ভিএফএক্স আর অন্যান্য টেকনিক্যাল কারিগরি কিন্তু ভরপুর আছে সিনেমায়। যেরকমটা পরিচালক প্রমিস করেছিলেন। এবং সেটা বড় স্ক্রিনে দেখতে বেশ ভালও লাগে।

… অর্থাৎ প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে এবং হলে গিয়ে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখলে আপনার টিকিটের পয়সা নষ্ট হবে না। পয়সা উসুল এবং সময়ের দাম উসুল করতে যদি একটা ভাল সিনেমা দেখতে আপনার ইচ্ছা করে, তা হলে তা হলে অবশ্যই হলে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখতে যেতে পারেন। এটা একটা ওয়ান টাইম ওয়াচ। আপনি হতাশ হবেন না…”