Swagatalakkhi Dasgupta: ‘কে কে এই স্বাগতালক্ষ্মী?’, বিয়েবাড়িতে হেনস্থার শিকার সঙ্গীতশিল্পী, রূপঙ্করের কেকে বিতর্কের জের?

Swagatalakkhi Dasgupta: “একজন পাবলিক ফিগার হলে সব সময় ভেবেচিন্তে কথা বলতে হয়। আর রূপঙ্কর কোনও এলেবেলে শিল্পী নন। আমরা কজন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। ও পেয়েছে।

Swagatalakkhi Dasgupta: 'কে কে এই স্বাগতালক্ষ্মী?', বিয়েবাড়িতে হেনস্থার শিকার সঙ্গীতশিল্পী, রূপঙ্করের কেকে বিতর্কের জের?
হেনস্থের শিকার সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত হেনস্থা শিকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 2:18 PM

রপঙ্কর বাগচী সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেছিলেন ‘কে কেকে’?  তাঁর এই বক্তব্যের পরই আকষ্মিক প্রয়ান কেকে-এর। সেই থেকে রূপঙ্করকে সোশ্যাল মিডিয়াতে বয়কটের দাবি। এর জেরে এবার হেনস্থা হতে হল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তকে। সম্প্রতি তিনি একটি বিয়ে বাড়িতে যান নাগেরবাজার অঞ্চলে। বউভাত ছিল স্বর্ণাশিস মুখোপাধ্যায়ের। তিনি শিল্পীর অনুরাগী। অথচ তাঁর উপস্থিতিতেই হয়ে গেল এক ভয়নাক কাণ্ড। তাঁর শাশুড়ি মা স্বাগতালক্ষ্মীকে দেখে ভীষণ খারাপ ভাবে বলেন, ‘কে কে এই স্বাগতালক্ষ্ণী? বেরিয়ে যান এখান থেকে’। শিল্পীর ছাত্র-ছাত্রীরাও সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা ওই জনৈক মহিলাকে জিজ্ঞেসা করেন, কেন তিনি এইভাবে বলছেন? “এতে তিনি আরও খেপে প্রায় মার মুখী হয়ে আমার কাছে এসে একই কথা বলতে লাগলেন। আমি জিজ্ঞেসা করলাম আপনি কি আমায় চেনেন, আমার নাম ধরে বলছেন, আমার সঙ্গে স্কুল-কলেজে পড়েছেন? ব্যস এতে তিনি আরও রেগে যান”, স্বাগতালক্ষ্মী তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই বিচ্ছিরি ঘটনার প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন। তিনি আরও যোগ করলেন, তিনি চাননি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে, কিন্তু তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা গুরুর সম্মান রাখতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনাটা তুলে ধরেন, জানালেন স্বাগতালক্ষ্মী।

রপঙ্করের কেকে বিতর্কের জেরেই কি এই ঘটনা? প্রথমিকভাবে তেমন মনে হলেও, পরে ওই মহিলা নিজেও নাকি গান-বাজনার সঙ্গে যুক্ত জানা গিয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই নাকি এটা করেছেন তিনি, মনে করছেন শিল্পী। তিনি আরও যোগ করলেন, তবে এখনও পুরো বিষয়টা জানেনে না। তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা জানার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন হল, কেন তিনি এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলেন না? উত্তরে শিল্পীর উত্তর, তিনি কারও ক্ষতি চান না। ওই দিন ছেলেটির ফুলশয্যা ছিল। পুলিশ আসলে নানা সমস্যা হত। “আর এটা হয়তো প্রচার পাওয়ার জন্যই মহিলা করেছেন, তাই আমি আর এই নিয়ে কিছু করার কথা ভাবিনি। তবে হ্যাঁ খারাপ লাগল স্বর্ণাশিসের ব্যবহার দেখে। ও আমার কাছে ক্ষমা চাইছে বারবার, কিন্তু শাশুড়িকে কিছু বলতে পারল না”, পুরো বিষয়টা নিয়ে এমনই মত স্বাগতালক্ষ্মী।

কিন্তু রূপঙ্কর যা বলেছেন, তা নিয়ে তাঁর কী মত? তাঁর মতে, “একজন পাবলিক ফিগার হলে সব সময় ভেবেচিন্তে কথা বলতে হয়। আর রূপঙ্কর কোনও এলেবেলে শিল্পী নন। আমরা কজন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। ও পেয়েছে। যথেষ্ট জনপ্রিয় রূপঙ্কর। এটা বলে তো ও নিজের কেরিয়ারেরই খারাপ অবস্থা করল। এটা অনেকটা আত্মহননের মতোই হল। যদি কেকে মারা নাও যেতেন, তা সত্ত্বেও একজন শিল্পী কী করে এমন কথা অন্য শিল্পী সম্পর্কে বলতে পারেন? আর আমরা বাঙালিরা কবে থেকে এমন জাতিভেদ করতে শিখলাম”?