International Daughter’s Day 2021: দেশ গড়ার কাজে কন্যাদের ভূমিকা পুরুষদের থেকে বেশি! তবুও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও মেয়েরা ব্রাত্য
একটি মেয়ের জন্মের পর পরিবার মনে করে, সে পরিবারের অন্তর্গত নয়। মহিলাদের এই নিয়ে কম শাস্তি ভোগ করতে বৈকি।
প্রতিদিনই মেয়ে দিবস হিসেবে পালন করেন সব বাবারা। আলাদা করে কোনও দিবসের দরকার পড়ে না। আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস হিসেবে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ রবিবার পালন করা হয়। এই বছর সেই বিশেষ দিনটি ২৬ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বজুড়ে।
আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস ২০২১: ইতিহাস
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, এখনও মেয়েদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। পরিবারের সবচেয়ে কম অধিকার পান মেয়েরাই। বড় শহরে এই মানসিকতা কম দেখা গেলেও গ্রামে, মফঃস্বলে এই চিন্তাধারা এখনও বর্তমান। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের বহু দেশই এখনও মনে করে, পুরুষদের থেকে মেয়েরা কমজুড়ি। অনেক পরিবার আবার কন্যাসন্তানের থেকে পুত্রসন্তান চায়। আর সেই কারণই কন্যাভ্রুণহত্যার মতো নারকীয় ঘটনা এখনও অব্যাহত। একটি মেয়ের জন্মের পর পরিবার মনে করে, সে পরিবারের অন্তর্গত নয়। মহিলাদের এই নিয়ে কম শাস্তি ভোগ করতে বৈকি। উন্নয়নশীল দেশে মেয়েদের প্রায়ই দেখা যায়, কন্যাসন্তানকে পরিবারের বোঝা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কন্যাসন্তান যে একেবারেই ফেলনা নয়, তাঁরাও যে সমাজের বিশেষ অংশ, তা জানাতে , অভিনন্দন জানাতে এই দিনটি পালন করা হয়। এই দিনটির কথা মাথায় রেখে মেয়েদের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও লিঙ্গসমতাকে উত্সাহিত করতে প্রেরণা দেওয়া হয়। মেয়েদের সমান অধিকার, সুযোগ পাওয়া উচিত. তা মানুষের মনে গেঁথে দিতে ও সচেতন করার জন্য এই দিনটি উদ্যাপন করা হয়।
তাত্পর্য
বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি মেয়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তার প্যারেন্টিং স্টাইল, শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশে, সমাজের উন্নয়নে বিসেষ ভূমিকা রাখেন। যার ফলে দেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কিন্তু, প্রথম থেকেই নারীদেরকে পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট বলে গণ্য করা হত। পুরুষ শাসিত সমাজে ভোটের মৌলিক অধিকারগুলি অনেক সংগ্রামের পর ১৯২০ সালে নারীরা তা অর্জন করকে পেরেছিল। অতএব, মেয়েদের সম্পর্কে সমাজে কলঙ্ক দূর করার জন্য, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মতো দিনগুলি উদযাপন আরও অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সমাজকে জোড় করে মানানোর দরকার নেই। কারণ সমাজে মেয়েদের অবদান ও কীর্তি এখন সকলেরই চোখের সামনে এসে পড়েছে। তাই পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা কম বুদ্ধিমান, কম সহানুভূতিশীল,কম স্বাধীন এবং নিম্নস্তরের মেধা, তা বোধহয় এখন আর বলা চলে না।