Madhuban: হিন্দুধর্মকে অপমানের অভিযোগ, ভিডিয়ো না মুছলে সানির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর

ঘটনার সূত্রপাত একটি গান নিয়ে। গানটির নাম মধুবন মে রাধিকা নাচে রে। ১৯৬০ সালে মহম্মদ রফির কন্ঠে গাওয়া এই গানের একটি রিমেক ভার্সন বেরিয়েছে সম্প্রতি। রিমেক ভার্সনের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সানি লিওনিকে।

Madhuban: হিন্দুধর্মকে অপমানের অভিযোগ, ভিডিয়ো না মুছলে সানির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
সানির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 10:22 PM

বিপাকে সানি লিওনি। তাঁর সাম্প্রতিক মিউজিক ভিডিয়ো মুক্তির পর থেকেই সমস্যার সম্মুখীন তিনি। উঠেছে হিন্দুধর্মকে অপমানের অভিযোগ। একই সঙ্গে তিন দিনের মধ্যে সমস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই ভিডিয়ো না সরালে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।

ঘটনার সূত্রপাত একটি গান নিয়ে। গানটির নাম মধুবন মে রাধিকা নাচে রে। ১৯৬০ সালে মহম্মদ রফির কন্ঠে গাওয়া এই গানের একটি রিমেক ভার্সন বেরিয়েছে সম্প্রতি। রিমেক ভার্সনের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সানি লিওনিকে। রিমেক গানটি গেয়েছেন কনিকা কাপুর ও অরিন্দম চক্রবর্তী। নির্মাতা ও গায়ক শারিব ও তোশী। নাচটিতে সানির পোশাক থেকে শুরু করে, গায়কী নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। আপত্তি উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার পুরোহিতদের তরফেও। তাঁদের অভিযোগ রাধাকে নিয়ে এমন গান আদপে হিন্দুধর্মের ভাবাবেগে আঘাত। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, “বিধর্মীরা হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানছে। আমি সানি লিওনি, শারিব ও তোশীজিকে পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, যদি তিনি দিনের মধ্যে গানটি না মুছে তাঁরা ক্ষমা না চান তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে চাপের মুখ খুলেছে গানটির প্রযোজনা সংস্থা সারেগামাও। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, গানের লিরিক্সের বদল করে করে নতুন গান নিয়ে আসবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আগামী তিন দিনের মধ্যেই যাবতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে সানির মধুবন মুছে ফেলবেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, চাপের মুখে শিল্পীদের ‘পিছিয়ে যাওয়া’র ঘটনা নতুন না। মাস কয়েক আগেই ডিজাইনার সব্যসাচীর এক মঙ্গলসূত্রের বিজ্ঞাপন নিয়ে হইচই পড়ে যায়। একই সঙ্গে ওঠে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ। সব্যসাচীও তাঁর সেই বিজ্ঞাপন তুলে নেন।