Vijay Devarakonda: গোটা ভারতের সামনে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, আমি ক্ষুধার্ত: হুঙ্কার বিজয় দেবেরাকোন্ডার

Vijay Devarakonda: সুঠাম শরীর, মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া চুলে বিজয়কে দেখে হতবাক সকলেই। সুপারস্টারের জন্মদিনেই তাঁর এ হেন রূপ কি রীতিমতো ত্রাস জাগাচ্ছে বড় বড় বলি অভিনেতাদের মনেও?

Vijay Devarakonda: গোটা ভারতের সামনে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, আমি ক্ষুধার্ত: হুঙ্কার বিজয় দেবেরাকোন্ডার
বিজয় দেবেরাকোন্ডা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 10:03 PM

টালমাটাল বলিউডে আবারও দক্ষিণী ঝঞ্ঝা। যে ঝঞ্ঝার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারত জুড়ে। আসছে ‘লাইগার’। জন্ম হতে চলেছে আরও এক প্যান ইন্ডিয়া তারকার। আট থেকে আশি, ছোট থেকে বড়– লাইগারের টিজার মুক্তির পর বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে দেখে এমনটাই মনে করছে গোটা দেশ। (Superstar Vijay Deverakonda) 

সুঠাম শরীর, মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া চুলে বিজয়কে দেখে হতবাক সকলেই। সুপারস্টারের জন্মদিনেই তাঁর এ হেন রূপ কি রীতিমতো ত্রাস জাগাচ্ছে বড় বড় বলি অভিনেতাদের মনেও? অসম্ভব নয়। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে বলিউডে দক্ষিণী ছবির রমরমা ইতিমধ্যেই সৃষ্টি করেছে নানা বিতর্কের। এনটিআর জুনিয়র থেকে রামচরণ, আল্লু অর্জুন— এই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন বছর ৩৩-এর দেবেরাকোন্ডা। তিনি বলেছেন, “ভারতের সামনে আমাদের সুযোগের দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলাম। আমি ক্ষুধার্ত। ভারতও ক্ষুধার্ত। সময় এসে গিয়েছে তাঁকে মুক্ত করার”।

বিজয়ের এই হুঙ্কারই এখন রীতিমতো ট্রেন্ডিং টুইটারে। হবে নাই বা কেন? ওই বক্তব্য যেন নব ভারতেরই প্রতিফলন। যে ভারত আশায় বাঁচে, দিনের শেষে সেরাটা দিতে চায়। বিজয় নিজেও আত্মবিশ্বাসী। সর্বভারতীয় দর্শকের কাছে পৌঁছে সারা বিশ্বে সিনেমার এক বেঞ্চমার্ক তৈরিই যে তাঁর লক্ষ্য। ভেবে দেখুন তো, ভারত কি সত্যিই ক্ষুধার্ত নয়? প্রতি জায়গায় নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে সে ক্ষুধার্ত। এই দেশেই তো লুক্কায়িত রয়েছে প্রতিভার ভান্ডার। দেশের এই মনোভাবেরই যেন যথাযথ মুখ বিজয়। তেলুগু সিনেমায় বহু আগেই নিজের জায়গা পাকা করেছেন বিজয়। এবার বিজয়রথ পাড়ি দিয়েছে বলিউডে। লাইগারে বিজয় ছাড়াও রয়েছেন অনন্যা পান্ডে ও মাইক টাইসন। মুক্তি পাওয়ার কথা অগস্টে।

শুধুই কি প্রতিযোগিতা? হুঙ্কার আর রেষারেষি? দক্ষিণী ছবি ও বলিউডের মধ্যে মেলবন্ধনেরও কি আদর্শ উদাহরণ নয় লাইগার? ছবিকে ঘিরে আশাবাদী দুই ইন্ডাস্ট্রিই। এই ছবি দিয়ে বলিউডে তাঁর ডেবিউ হলেও বিজয় কিন্তু বলিউডে পরিচিতি পেয়েছেন আরও আগে। শাহিদ কাপুর অভিনীত কবির সিংয়ের কথা মনে আছে? ওই ছবি আদপে ছিল তেলুগু ছবি অর্জুন রেড্ডির রিমেক। অর্জুন রেড্ডির ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন বিজয়। হিন্দি রিমেকে কিন্তু তাঁকে নেওয়া হয়নি। তবে এবার আর নয়, লাইগার তিনিই।
অভিনয় তাঁর পেশা হতে পারে, নেশা মানুষকে ভালবাসা। দেবেরাকোন্ডা ফাউন্ডেশনেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। অলাভজনক সংস্থার যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে। কোভিড সংকটের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ দেওয়া, মধ্যবিত্ত তহবিল গঠন করা, খাবার কিনে দেওয়া– এ সবই করা হয়েছে তাঁর ওই সংস্থা থেকে। একা নয়, সবাইকে নিয়ে চলাই পছন্দ তাঁর। জন্মদিনে শুধু বিজয়ের লাইগার নয়, টিজার প্রকাশ্যে এসেছে আরও বেশ কিছু সিনেমার। হিংসে নয়, বরং নির্ভেজাল আনন্দে অভিনেতা বলছেন, “আমার জন্মদিনে এত সিনেমার প্রমোশন! মনে হচ্ছে জন্মদিনের উৎসব হচ্ছে।” এতটা সহজ সরল তিনি, এতটাই সাধারণ তাঁর জীবন যাপনের মান। তিনি ভারতীয় সিনেমা জগতে নতুন তারা বিজয় দেবেরাকোন্ডা।