World Environment Day 2021: বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করুক পৃথিবী, জানুন এই বিশেষ দিনটির গুরুত্ব
করোনাকালে যে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে, তাতে পরিবেশ বাঁচাতে, প্রকৃতিকে কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস পালন করা উচিত। অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানল, অ্যামাজনের সবুজে ঘেরা জঙ্গলে ভয়ংকর দাবানল, দক্ষিণ ভারতের ভয়াবহ বন্যা, পশ্চিমবঙ্গে একবছর অন্তর শক্তিশালী সাইক্লোনের দাপট- এসবই প্রতিনিয়ত পরিবেশ ধবংসের কারণ। প্রকৃতিকে না বাঁচালে মানবজাতি একেবারেই বিপন্ন, তার গুরুত্ব এই করোনাকালে হাড়ে হাড়ে টের […]

করোনাকালে যে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে, তাতে পরিবেশ বাঁচাতে, প্রকৃতিকে কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস পালন করা উচিত। অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানল, অ্যামাজনের সবুজে ঘেরা জঙ্গলে ভয়ংকর দাবানল, দক্ষিণ ভারতের ভয়াবহ বন্যা, পশ্চিমবঙ্গে একবছর অন্তর শক্তিশালী সাইক্লোনের দাপট- এসবই প্রতিনিয়ত পরিবেশ ধবংসের কারণ। প্রকৃতিকে না বাঁচালে মানবজাতি একেবারেই বিপন্ন, তার গুরুত্ব এই করোনাকালে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে মানুষ।
গোটা বিশ্বে ৫ জুন পরিবেশ দিবস (World Environment Day) পালিত হয়। বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের পিছনে উদ্দেশ্য হল, পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শিল্পায়ন এবং নগরায়নের জেরে গোটা বিশ্বজুড়েই পরিবেশের দফারফা। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, ভূগর্ভস্ত জল মাটির আরও গভীর চলে যাওয়া, হিমবাহ গলে যাওয়া- এসব ঘটনার সঙ্গে মানবজাতির যে প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সব মানুষের উপরেই বর্তায়। এবার দেখে নিন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ইতিহাস, গুরুত্ব…
ইতিহাস
১৯৭২ সালে জাতিসংঘ পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্টকহোম সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ১৯৭৪ সালে এই বিশেষ দিনটি প্রথম ‘একমাত্র পৃথিবী’ থিম নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সামুদ্রিক দূষণ, মানব জনসংখ্যা, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বন্যপ্রাণের মতো পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। বিশ্ব পরিবেশ দিবস জনসাধারণের কাছে পৌঁছনোর জন্য একটি বিশ্বজনীন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিবছর ১৪৩ টিরও বেশি দেশ অংশ নেয়।
আরও জানুন: করোনাই শেষ অতিমারি নয়, আসছে অন্য মহামারীর ঢেউ! বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীর
এ বছরের থিম
২০২১ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হল বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে অতীতের সব পাপ মুছে ফেলা সহজ নয়। তবে আগামীদিনগুলি যাতে ফের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য শহর, বাড়ির চারপাশে গাছ লাগিয়ে সবুজ করতে পারি। জাতিসংঘের পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া জারি রাখার কথা বলা হয়েছে। কারণ, এই বাস্তুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করলেই গাছপালা, জীবজন্তু, প্রাণী, ও অন্যান্য পশুরা প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে একত্রিতভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। সাম্প্রতিক অতীতে, পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রকে ধবংস করে যে কঠিন সময়ে আমরা জীবন-মরণের যুদ্ধ করে চলেছি, তা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।





