‘ছবি ফ্লপ হলে বিয়ে করব’, অক্ষয়কে আজব শর্ত দিয়েছিলেন টুইঙ্কল

রূপকথার মতো না হলেও আক্কি-টিনার প্রেমকাহিনী 'ইউনিক' নিঃসন্দেহে।

'ছবি ফ্লপ হলে বিয়ে করব', অক্ষয়কে আজব শর্ত দিয়েছিলেন টুইঙ্কল
আজ অক্ষয়-টুইঙ্কলের ২০তম বিবাহবার্ষিকী
Follow Us:
| Updated on: Jan 17, 2021 | 1:48 PM

২০ বছরের সঙ্গী তাঁরা। সম্পর্কের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাঢ় হয়েছে তাঁদের বন্ধুত্ব। গভীর হয়েছে প্রেম। সম্পর্কের রসায়ন কতটা গাঢ় হয়েছে তা বুঝিয়েই ২০তম বিবাহবার্ষিকীতে টুইঙ্কল খান্নাকে শুভেচ্ছা জানালেন অক্ষয় কুমার। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বলিউডের এই দুই অভিনেতা।

ইনস্টাগ্রামে টুইঙ্কলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আক্কি। অভিনেতা লিখেছেন, “যে পার্টনারশিপের ব্যাপারে আমি বরাবর নিশ্চিত। ২০ বছর ধরে একসঙ্গে রয়েছি। কিন্তু এখনও তুমি একই ভাবে আমায় চমক দাও। যখন তুমি কাছে থাকো তখন হাসি কখনই দূরে থাকে না। শুভ বিবাহবার্ষিকী টিনা।” স্ত্রীকে এই নামেই ডাকেন অক্ষয় কুমার।

View this post on Instagram

A post shared by Akshay Kumar (@akshaykumar)

অক্ষয়-টুইঙ্কলের বিয়ে নিয়ে রয়েছে অনেক মজার গল্প। রূপকথার মতো না হলেও আক্কি-টিনার প্রেমকাহিনী ‘ইউনিক’ নিঃসন্দেহে। মুম্বইয়ে একটি বিখ্যাত ম্যাগাজিনের শুটিংয়ে টুইঙ্কলের সঙ্গে আলাপ হয় অক্ষয়ের। অভিনেতা অবশ্য প্রথমেই টুইঙ্কলকে দেখে প্রেমে পড়েছিলেন। যাকে বলে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’। তবে ক্রাশ টুইঙ্কলের সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’-র সেটে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল টুইঙ্কলকে বিয়ের জন্য অক্ষয় যখন শাশুড়ি মা ডিম্পল কাপাডিয়ার কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন তখন যে চিঠি লিখেছিলেন সেই নিয়েই হয় বিপত্তি। কোনও এক অজানা কারণে অক্ষয়কে সমকামী ভেবেছিলেন ডিম্পল। পরে অবশ্য সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।

বিয়ের জন্য অক্ষয়কে অদ্ভুত শর্ত দিয়েছিলেন টুইঙ্কল। যে সময় বিয়ের জন্য অক্ষয় তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন কেরিয়ারের দিকে নজর দিতে চেয়েছিলেন টুইঙ্কল। সেই সময় ‘মেলা’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন তিনি। অক্ষয়কে টুইঙ্কল বলেছিলেন ছবি বক্স অফিসে ফ্লপ করলে বিয়ে করবেন। সেভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি ‘মেলা’। এরপরই কথা রেখে অক্ষয়কে বিয়ে করেন টুইঙ্কল।

অভিনয়ের দুনিয়ায় সেভাবে আর দেখা যায় না টুইঙ্কলকে। তবে অনেকদিন ধরেই লেখালেখিতে মন দিয়েছেন তিনি। আর টুইঙ্কলের সব লেখার প্রুফ্ররিডার হিসেবে কাজ করেন অক্ষয়। স্ত্রীর সব লেখালেখি তাঁর হাত দিয়েই প্রকাশ পায়।