করণের বাড়ির পার্টিতে কী হয়েছিল? বিস্তারিত জানতে চেয়ে পরিচালককে নোটিস পাঠাল এনসিবি
এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া করণের বাড়ির পার্টির একটি ভিডিওর ব্যাপারে পরিচালকের কাছে বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
বলিউড পরিচালক করণ জোহরকে নোটিস পাঠালো নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বৃহস্পতিবার রাতে এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া করণের বাড়ির পার্টির একটি ভিডিওর ব্যাপারে পরিচালকের কাছে বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে করণের বাড়িতে একটি পার্টি হয়েছিল। সেই হাউস পার্টিতে হাজির ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন, মালাইকা অরোরা, অর্জুন কাপুর, বরুণ ধাওয়ান, জোয়া আখতার, রণবীর সিং, শাহিদ কাপুর এবং বলিউডের অনেক তারকাই। উল্লেখ্য চলতি বছর ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে এই ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে করণের বাড়ির ওই পার্টিতে নাকি মাদক সেবন করেছিলেন উপস্থিত তারকারা। এবার এই ভিডিও প্রসঙ্গে করণের কাছে জবাব চাইল এনসিবি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই মাদক যোগ নিয়ে সরগরম বলিউড। একের পর এক হেভিওয়েটদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেই তালিকায় নাম জড়িয়েছিল ক্ষিতীশ রবিপ্রসাদ এবং অনুভব চোপড়ার। সেই সময় শোনা যায় এরা দু’জনই ধর্মা প্রোডাকশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শোনা গিয়েছিল এরা দু’জনেই করণের ঘনিষ্ঠও ছিলেন। পরে ক্ষিতীশ রবিপ্রসাদকে গ্রেফতারও করে এনসিবি। কিন্তু পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। মাদক কাণ্ডে এনসিবি দফতরে ক্ষিতীশ এবং অনুভবের ডাক পড়তেই করণের নামে শুরু হয় তুলোধনা। এমনিতেও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিশেষ করে নেপোটিজম বা স্বজনপোষণের ব্যাপারে নাম জড়িয়েছিল করণের। পরিচালকের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে আঙুল তুলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নেটিজেনদের রোষানলে পড়েছিলেন করণ।
View this post on Instagram
সেই সময় অর্থাৎ গত সেপ্টেম্বর মাসে সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে করণ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যা যা বলা হচ্ছে তার সবই মিথ্যে এবং যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন। এর পাশাপাশি করণ এও জানা, ক্ষিতীশ রবিপ্রসাদ এবং অনুভব চোপড়াকে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি চেনেন না। তাই এই দু’জন করণের ঘনিষ্ঠ এমনটা বলা উচিত নয়। করণের কথায়, অনুভব চোপড়া কোনওদিনই ধর্মা প্রোডাকশনের কর্মী ছিলেন না। কেবল ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ধর্মা-র সঙ্গে দুটি প্রোজেক্টে কাজ করেছিলেন তিনি।
আর ক্ষিতীশ রবিপ্রসাদ ২০১৯ সালে ধর্মা প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িত একটি শাখা সংগঠন ধর্মাটিক এনটারটেনমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। একটি প্রোজেক্টের এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসেবে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ক্ষিতীশকে। তবে পরে ওই প্রোজেক্টের কাজ আর এগোয়নি।
সেই সময় করণের সাফ জানিয়ে দেন তিনি এবং তাঁর সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশন কোনও ভাবেই মাদক কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। নিজের বাড়ির পার্টিতেও কাউকে ড্রাগ দেননি তিনি। নিজেও নেননি। শুধু বাড়ি নয়, এ যাবৎ কোথাও কখনই নিজে মাদক সেবন করা বা কাউকে ড্রাগ নেওয়ার কাজে সমর্থন করেননি তিনি ও তাঁর সংগঠন। এমনটাই দাবি করেন করণ।
তবে এবার এনসিবি-কে পরিচালক কী জবাব দেন সেটাই দেখার।