ক্রিসমাসে সান্টার কাছ থেকে কী উপরি পাওনা পেতেন কোয়েল?
এত আতঙ্কের মধ্যেও কোয়েল মনে করেন, সান্টা আছে মানেই ভরসা রয়েছে। ভাল দিনের ভরসা।
মেরি ক্রিসমাস (Christmas)। এই শুভকামনা দিয়েই আজকের সকালটা শুরু করেছেন সকলে। কারও বা সেলিব্রশন শুরু হয়ে গিয়েছিল গতকাল মধ্যরাত থেকেই। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই নিজের মতো করে আনন্দের ঠিকানা খুঁজে নিতে চাইছেন সকলে। এই আবহে অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানালেন টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। একই সঙ্গে শেয়ার করলেন তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ ভিডিও শেয়ার করেছেন কোয়েল। সেখানে তিনি বলেন, “শীতের সময়টা আমার ভীষণ ভাল লাগে। ছোটবেলায় আমি আর মা ক্রিসমাসের সময়টা নিউ মার্কেটে গিয়ে অনেক জিনিস কিনে আনতাম। প্রচন্ড মজা করে সাজাতাম। ক্রিসমাস মানেই আমার কাছে আনন্দ। সান্টা আসবে। সবার সব স্বপ্নপূরণ করবে। সকলের জীবন সে অনেক সুন্দর করে দেবে। আকাশে বাতাসে প্রচুর মজা, প্রচুর আনন্দ। অনেক খুশির একটা পরিবেশ তৈরি হবে এই ক্রিসমাসের সময়।”
View this post on Instagram
সান্টার অপেক্ষায় মোজা ঝুলিয়ে রাখাটা যেন ছোটবেলার রেওয়াজ। সেই নস্টালজিয়া রয়েছে কোয়েলেরও। তাঁর কথায়, “ছোটবেলায় যেভাবে আমরা সকলে মনে করি সান্টা বলে একজন আছে। রাতের বেলা এসে কানে কানে উইশ করবে। আমিও সেটা বিশ্বাস করতাম। ভাবতাম সত্যিই একজন বুড়ো দাদু আসবে আর অনেক কিছু দিয়ে যাবে। মা সব সময় বলত প্রার্থনা করে ঘুমোতে যাও। এমনিতেই করি। কিন্তু ২৪ তারিখ রাতের স্পেশ্যাল প্রার্থনা। আমি একটা মোজা রেখে দিতাম। পরের দিন সকালে ভর্তি হয়ে যেত চকোলেটে। আমি ভাবতাম চকোলেট তো চাইনি। এটা উপরি পাওনা।”
আরও পড়ুন, প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন শোভন-স্বস্তিকা?
এত আতঙ্কের মধ্যেও কোয়েল মনে করেন, সান্টা আছে মানেই ভরসা রয়েছে। ভাল দিনের ভরসা। তাঁর বাড়িতে এখন ছোট্ট সান্টা হাজির। অর্থাৎ তাঁর এবং নিসপালের একমাত্র সন্তান কবীর। ২০২০ কোয়েলের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বছর। কারণ মা হওয়ার অভিজ্ঞতা। নিজের ছোটবেলার মতো এবার ছেলেকেও ধীরে ধীরে সান্টার সঙ্গে পরিচিত করাবেন তিনি। তার প্রস্তুতি শুরু হল এই ক্রিসমাস থেকেই।
আরও পড়ুন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মারক সম্মান পেলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী