Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মেয়েকে দিয়ে রোজগার করাচ্ছে? বম্বে আসা মানেই তাঁরা খারাপ: বিস্ফোরক ভারতী

Bharti Struggle: মঞ্চ এক প্রতিযোগীর মায়ের লড়াইকের কথা শুনে ভারতী কেঁদে ফেলেন। সঙ্গে বলে ওঠেন, 'অনেকেই মনে করেন এই কান্না টিআরপির জন্য, এমনটা নয়। আমরাও তো জীবনে অনেক ওঠা পড়া দেখে এসেছি, তাই কারও কারও কথা শুনলে নিজের লড়াইয়ের কথা মনে পড়ে যায়'। 

মেয়েকে দিয়ে রোজগার করাচ্ছে? বম্বে আসা মানেই তাঁরা খারাপ: বিস্ফোরক ভারতী
Follow Us:
| Updated on: Feb 05, 2024 | 1:13 PM

ভারতী সিং, কমেডিয়ান তথা সঞ্চালক, যাঁকে নিয়ে ভক্তমনে সর্বদাই উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। একের পর এক শো তাঁর হাত ধরে হিট। সকলের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দেওয়া থেকে মজা করা, ভারতী যেন এক্ষেত্রে কাউকেউ ছেড়ে কথা বলতে রাজি নন। সেই ভারতীর চোখেই জল? যাঁর বলা এক একটি কথা দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে, সেই সেলেবের হাসির আড়ালে এতটা যন্ত্রণা লুকিয়ে তা কে জানত? ভারতী এক রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানান, তাঁর মা মাত্র ২২ বছর বয়সে স্বামীকে হারান। একপ্রকার সিঙ্গল মাদারই তাঁর। মঞ্চ এক প্রতিযোগীর মায়ের লড়াইকের কথা শুনে ভারতী কেঁদে ফেলেন। সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘অনেকেই মনে করেন এই কান্না টিআরপির জন্য, এমনটা নয়। আমরাও তো জীবনে অনেক ওঠা পড়া দেখে এসেছি, তাই কারও কারও কথা শুনলে নিজের লড়াইয়ের কথা মনে পড়ে যায়’।

এরপর ভারতী জানান, ছোটবেলায় ঠিক কতটা পরিশ্রম করেছিলেন তাঁর মা, বলেন, ”আমার মা লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্না করে রোজগার করতেন। আমিও মায়ের সঙ্গে সঙ্গে যেতাম। রান্না ঘরে মায়ের পিছনে বসে ভাঙা খেলনা নিয়ে খেলা করতাম। মাঝে মাঝে এমন হতো, মালিকেরা এসে বসতেন, কাল রাতের কিছু খাবার বেঁচে গিয়েছে, নিয়ে যেও, আমি খুশি হয়ে যেতাম, আজ তো পার্টি হবে বাড়িতে, ডাল মাখানি খেতে পাব, পনির খেতে পাব। মনে মনে ভাবতাম, মা চলো, তাড়াতাড়ি বাড়ি চলো, বাড়ি গিয়ে খেতে হবে। আজ ভাল ভাল খাওয়া…। এখানেই শেষ নয়, আরও অনেক কিছু শুনতে হতো। বড় হওয়ার পর যখন আমি কমেডির জন্য স্থির করলাম বম্বে আসব, তখন শুনতে হয়েছিল, বম্বেতে যাঁরা কাজ করে তাঁরা খারাপ। মেয়েকে দিয়ে রোজগার করাচ্ছে, এটা কেমন পরিবার?”

ভারতীর কথায়, ”সেসব শুনলে আজ এখানে পৌঁছতে পারতাম না। সকলেই বলতেন, এখানে এসে স্বপ্ন অনেকেই দেখে, তবে সেদিন যদি আমি থেমে যেতাম, আমার মা থেমে যেত, লোকের কথা শুনে, তবে আজ আমি এখানে পৌঁছতে পারতাম না। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতী।”