চোখে গ্লিসারিন? ফের কাঁদতে কাঁদতে রচনা বললেন, ‘উঠে পড়ে লেগেছে…’
আরজিকর কাণ্ডের ছয় দিন পর নির্যাতিতাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির সাংসদের চোখ ভিজে গিয়েছিল জলে। তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দে কিছু কম হয়নি।
আরজিকর কাণ্ডের ছয় দিন পর নির্যাতিতাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির সাংসদের চোখ ভিজে গিয়েছিল জলে। তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দে কিছু কম হয়নি। নেটিজেন এর একাংশ তো বটেই, এরই পাশাপাশি গায়িকা সাহানা বাজপেয়ী সহ আরও অনেকেই তাঁর ওই কান্নাকে তুলনা করেছিলেন ‘কুম্ভীরাশ্রু’র সঙ্গে। এমনকি বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধরও খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাংসদ হওয়ার আগে শুধু ধোঁয়া দেখতেন উনি। এখন গ্লিসারিন দিয়ে চোখে জল আনছেন।’ এবার ফের কাঁদতে কাঁদতে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা বলেন, “একটা মানুষ যখন সেই জিনিসটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে তখন তাঁর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে। এরকম একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটেছে এর মধ্যে সিপিএম বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছে, কে কী করছে তা দেখার জন্য। সেটা না করে যদি সুবিচারের প্রতি নজর দিই তাহলে অনেক ভাল হবে। তা না করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখের জল ফেলল, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত শঙ্খ বাজাল করে সময় নষ্ট করবেন না। পুলিশ রয়েছে বলেই কিন্তু দুদিনের মধ্যেই সেই দোষীকে ধরা হয়েছে। আপনারা অনেকেই শুধু গলাবাজি করছেন। কিন্তু, গলাবাজি করে সুবিচার পাওয়া যায় না। সুবিচার পেতে গেলে অন্যায়ের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয়। কোন শিল্পী কী করছে, সেটা দেখা আপনাদের কাজ নয়। দয়া করে এটা করবেন না।”
এখানেই থামেননি তিনি। চিকিৎসকের কর্মবিরতি নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। হাতজোড় করে অনুরোধ করেন, চিকিৎসকেরা যেন চিকিৎসা বন্ধ না করে দেন। একই সঙ্গে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতেও সোচ্চার হতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও চিঁড়ে ভেজেনি। রচনার ভিডিয়ো নিয়ে ট্রোলিং চলছে পুরোদমে।