RG KAR Case: ‘শিল্পীদের! ওটা তৃণমূলের মিছিল’, সৃজিত-শ্রাবন্তীদের জমায়েতকে তোপ দাগলেন রুদ্রনীল

Tollywood: ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে উদ্যোগী শিল্পীরা। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় থেকে অরিন্দম শীল প্রত্যেকেই এ দিন জমায়েতে শামিল থাকার কথা জানিয়েছেন। এবার এই জমায়েতের সমালোচনায় রুদ্রনীল ঘোষ। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রুদ্রকে আটকও করেছিল পুলিশ। শনিবার আর্টিস্টদের তরফে ঘোষিত এই জমায়েতের খবরকে নস্যাত্‍ করে দিয়ে রুদ্রনীলের দাবি, এটা তৃণমূলের মিছিল।

RG KAR Case: 'শিল্পীদের! ওটা তৃণমূলের মিছিল', সৃজিত-শ্রাবন্তীদের জমায়েতকে তোপ দাগলেন রুদ্রনীল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2024 | 8:26 PM

১৮ অগস্ট, রবিবার টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয় টলিপাড়ার শিল্পীরা মিলিত হয়ে আরজি করে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে উদ্যোগী শিল্পীরা। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় থেকে অরিন্দম শীল প্রত্যেকেই এ দিন জমায়েতে শামিল থাকার কথা জানিয়েছেন। নিজেদের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্টও করেছেন সে কথা। এই উদ্যোগের ব্যাপারে কি অবগত আর্টিস্ট ফোরম? এই ব্যাপারে স্বরূপ বিশ্বাসের ফেডারেশনই বা কী বলছে? যদিও অন্য দিকে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জনা বসুর কণ্ঠে অন্য সুর। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রুদ্রকে আটকও করেছিল পুলিশ। শনিবার আর্টিস্টদের তরফে ঘোষিত এই জমায়েতের খবরকে নস্যাত্‍ করে দিয়ে রুদ্রনীলের দাবি, এটা তৃণমূলের মিছিল। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ‘দলাদলি’র কথা এর আগেও অনেক বার বলেছিলেন রুদ্রনীল। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় অভিনেতার সঙ্গে।

তিনি বলেন,”এই মিছিলে তৃণমূলের আর্টিস্টরা যাবেন। আর্টিস্ট ফোরাম থেকে তো কোনও কল নেওয়া হয়নি এ বিষয়ে। আসলে যেভাবে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই নিজের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন, সেই দলেরই একটা অংশ এই জমায়েতে শামিল হবেন সেটা স্পষ্ট। এটা অরূপ বিশ্বাস, স্বরূপ বিশ্বাসের ছক। এটা আর্টিস্ট ফোরামের করা উচিত ছিল। তারা যখন কোনও উদ্যোগ নেয়নি, এটা তৃণমূলের মিছিল। যদি আর্টিস্ট ফোরাম থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হত সেখানে অবশ্যই যেতাম।” অভিনেত্রী অঞ্জনাও এই ভিড়ে শামিল হতে রাজি নন। তিনি বলেন,”এমনিতেও আমার শুটিং আছে। কিন্তু এই ঘটনার প্রতিবাদে আর্টিস্ট হিসাবে আমি কোনও মিছিলে শামিল হতে চাই না, বরং চাইব আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো প্রতিবাদ জানাতে।” যদিও অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায় এই জমায়েতকে রাজনৈতিক ছাপ দিতে নারাজ। তার মতে এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক জমায়েত।

এই জমায়েত প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বলেন,”এই জমায়েত সম্পর্কে ফেডারেশন অবগত নয়। আরজি কর-এর ঘটনা তো খুবই দুঃখের। এই বিষয়ে ফেডারেশনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কিনা তা আমি একক ভাবে বলতে পারি না। আমাদের ২৬টি গিল্ড রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও কথাই বলতে পারব না।” শিল্পীদের জমায়েত যখন শিল্পী সাংসদ কি অবগত? এই প্রশ্ন বার বারই উঠে আসছে।

এ প্রশ্নের উত্তরে আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় TV9 বাংলাকে বলেন,”আর্টিস্ট ফোরামের তরফ থেকে কোনও জমায়েত ডাকা হয়নি। শিল্পীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই জমায়েত ডাকা হয়েছে। আমার কাছে বেশ কিছু মেসেজ ফরোয়ার্ডেড হয়ে এসেছে। আমি থাকার চেষ্টাও করব। তবে আর্টিস্ট ফোরামের তরফ থেকে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে একটি কর্মসূচীর ডাকার কথা বলা হচ্ছে। তা আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএমন এমন অনেক রাজনৈতিক দলের মানুষই আর্টিস্ট ফোরামের সদস্য। ব্যক্তিগত ভাবে যদি কেউ যেতে চায় বা না চায় সবটাই তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে রবিবার যে এমন কোনও জমায়েত হচ্ছে তা সম্পর্কে অবগত আর্টিস্ট ফোরাম।”