Sonamoni Saha: ‘মোহর’ শেষ, আগামী দিনে কোন সুখবর দিতে চলেছেন সোনামণি?
Sonamoni Saha: লম্বা সময়, কাটানো কিছু ভাল মুহূর্ত, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি... মন খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবু সময় থমকে দাঁড়ায় না--
আড়াই বছরের জার্নি মুখের কথা নয়! অবশেষে শেষ হল সেই যাত্রা। শেষ হচ্ছে মেকআপ রুম আড্ডা, লাঞ্চব্রেকের খুনসুটি। শেষ হল একদা টিআরপি প্রায় প্রথম সারিতে থাকা ধারাবাহিক মোহর। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে শুটিং। আর দু’দিন পরেই শেষ সম্প্রচার। মোহর ওরফে সোনামণি সাহার আগামী দিনের পরিকল্পনা কী? কোন পথে এগবে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ? TV9 বাংলার কাছে মনের ঝাঁপি খুললেন তিনি।
লম্বা সময়, কাটানো কিছু ভাল মুহূর্ত, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি… মন খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবু সময় থমকে দাঁড়ায় না– এই সত্যি মেনে নিয়ে আপাতত ‘ব্রেক’ নিতে চান তিনি। সাধারণত ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর প্রায় সকল অভিনেতার মুখেই শোনা যায় ‘ব্রেক’-এর থিয়োরি। সে কথা তুলতেই এক চোট হেসে নিলেন নায়িকা। তারপর বললেন, “না না আমি মোটে দশ দিনের ব্রেক চাইছি। সবাই ছয় মাসের ব্রেক চায়।” তারপরেই কাজ, নতুন সুখবর? সোনামণি জানালেন, তাঁর ‘কিটি ব্যাগে’ রয়েছে বেশ কিছু প্রজেক্ট। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। বলছিলেন, “ফোন তো আসছেই। সবাইকে বলেছি, ১০ দিন পর সব কিছু নিয়ে কথা বলব।” স্টার জলসার সঙ্গে কন্ট্র্যাক্টে রয়েছেন। ওদিকে আবার ডাক আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেল থেকেও। সব মিলিয়ে কিছুটা ধন্দে তিনি। তবে থেমে থাকতে চান না। তাই দশ দিনের মধ্যেই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলবেন অভিনেত্রী।
প্রযোজক রানা সরকারে সঙ্গে একটি প্রজেক্টে কাজ করার কথা ছিল তাঁর। অভিনেত্রী জানিয়েছেন আপাতত সেটিতে তিনি থাকছে না। সূত্র বলছে, কলকাতার প্রথম সারির এক প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও কথাবার্তা বেশ কিছুটা এগিয়েছে তাঁর। হালফিলে টেলিপাড়ার অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীই কাজ করছেন বড় পর্দায়। তৃণা সাহা থেকে সোলাঙ্কি রায়– সবারই মুখ্য চরিত্রেই ডেবিউ হয়েছে বা হতে চলেছে। সোনামণিও কি সেই পথেই এগবেন। তাঁর উত্তর, “বড় পর্দায় ইচ্ছে তো আছে, ভাল চরিত্র আর ভাল গল্পের খোঁজে রয়েছি। শুধু যে ধারাবাহিকেই আটকে থাকতে চাই এমনটা তো নয়। মনের মতো চরিত্র পেলে আমি সব মাধ্যমেই রাজি।” মোহরেই আর আটকে থাকতে চান না সোনামণী। দেবি চৌধুরানীর ইমেজ ভেঙে মোহর হয়েছিলেন, এবার মোহরের তকমা ঝেড়ে ফেলে সোনামণি হয়েই পৌঁছে যেতে চান দর্শকের মনে।