Durga Puja 2021: শ্রীরামকৃষ্ণের মাতৃরূপ, ‘রাসমণি’ ধারাবাহিকে এখন মা দুর্গার আরাধনা
Durga Puja 2021: অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তীও শুটিং সেটের দুর্গা ঠাকুরের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর চরিত্রের নাম অন্নদা। পাশে রয়েছেন কুমুদিনী। রানি রাসমণিতে এখন মা দুর্গার আরাধনা।
শেষ হয়ে হইল না শেষ। রবি ঠাকুরের লেখা সেই অমোঘ লাইন বাঙালির দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সত্যি। পুজো মিটে গিয়েছে কিন্তু এখনও পুজোর রেশ ধরে রেখেছে বাঙালি। ফাঁকা মন্ডপে আড্ডা দিয়ে হোক, অথবা লক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতিতে বয়ে চলেছে সেই আনন্দের ধারা। পুজোর রেশ ধরে রাখার এখন আরও একটি মাধ্যম বিভিন্ন ধারাবাহিক। বিনোদনের আঁতুরঘরে এখন দুর্গা পুজোর মরসুম।
বিভিন্ন ধারাবাহিকে দুর্গাপুজো দেখানো নতুন নয়। ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি উত্তরপর্ব’-তেও তারই ধারা রয়েছে। এখানে শ্রীরামকৃষ্ণের মাতৃরূপ দেখানো হচ্ছে। শাড়ি, শাঁখা, সিঁদুরে সেজে মায়ের পুজো করছেন তিনি। পাশে রয়েছেন সারদামণিও। সৌরভ সাহা এবং সন্দীপ্তা সেনের অপূর্ব অভিনয় পছন্দ করছেন দর্শক।
অন্যদিকে অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তীও শুটিং সেটের দুর্গা ঠাকুরের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর চরিত্রের নাম অন্নদা। পাশে রয়েছেন কুমুদিনী। রানি রাসমণিতে এখন মা দুর্গার আরাধনা। বাস্তবে মায়ের বিদায়ের পর সকলেই চেনা রুটিনে ফিরেছেন। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে ফের পুজোর আবহ এনজয় করছেন কলাকুশলীরা।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি অভিনেতা রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করেছেন প্রমিতা। তারপর এই ধারাবাহিকে অন্নদা চরিত্রের মাধ্যমেই ফের কামব্যাক করেন। সে সময় প্রমিতা বলেছিলেন, “অন্নদা রাসমণির নাতবৌ। তাঁর এক মেয়ে পদ্ম তাঁর কাছে থাকলেও জামাই থাকতেন না। তাঁদের সন্তান গণেশ, অর্থাৎ রাসমণির নাতি রাসমণির কাছে বড় হয়নি। নবদ্বীপে গিয়ে সেই নাতির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সে সময় নবদ্বীপে সমস্ত মেয়েকে কৃষ্ণের সঙ্গে কণ্ঠীবদল করে দেবদাসী তৈরি করে দেওয়া হত। রাসমণি অন্নদার ক্ষেত্রে বাধা দেন। পরে ঘটনাচক্রে তাঁর নাতির সঙ্গে বিয়ে দেন। অন্নদার আলাদা গল্প আছে। স্ট্রাগল আছে। চরিত্রটা ভাল লেগেছে।”
‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকে রানি মা অর্থাৎ দিতিপ্রিয়া রায়ের জার্নি শেষ। শেষ হয়েছে রানির জামাই মথুরবাবু চরিত্রের জার্নিও। এখন এই ধারাবাহিকে চিত্রনাট্য অনুযায়ী শ্রীরামকৃষ্ণদেব, সারদাদেবীর গল্প চলছে। TV9 বাংলাকে সৌরভ আগেই জানিয়েছিলেন, এই ধারাবাহিকে এখনও অনেক কিছু করার আছে। সৌরভ শেয়ার করেছিলেন, “ঠাকুরের জীবনের ব্যপ্তি বিরাট। ১৮৩৬-এ জন্মেছিলেন। সেখান থেকে তিনি আজও সমান ভাবে পূজিত, জনপ্রিয়। সমাজকে অন্য ভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী ছিল তাঁর। এই ধারাবাহিকে সেটা এখনও দেখানো বাকি রয়েছে। সকলের কাছে অনুরোধ, এখানে অনেক কিছু করার বাকি আছে। আপনারা দয়া করে দেখুন। জাত, ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করার ঊর্দ্ধে ছিলেন ঠাকুর। বরাবর প্রতিবাদ করেছেন। কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এই উপলব্ধি করেছিলেন, সেটা দেখানোর চেষ্টা করা হবে। যদি দর্শক ভালবেসে গ্রহণ করেন, পাশে থাকেন।”
আরও পড়ুন, Mandira Bedi: সব ভুলে এখন শুধুই ভাল মা হতে চান মন্দিরা