Doctors’ Day: ঝুঁকি সত্ত্বেও ঐন্দ্রিলাকে আগলেছেন ওঁরা, কলকাতার দুই ডাক্তারকে কুর্নিশ সব্যসাচীর

দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই। চলেছে কেমো, এখনও চলছে। ফুসফুসে হওয়া টিউমারটির জন্য কেমো যথেষ্ট ছিল না। দরকার ছিল অস্ত্রোপচারের। রিস্ক ছিল। সে কথা জানতেন ঐন্দ্রিলা নিজেও। ডাক্তারও লুকোছাপা করেননি

Doctors' Day: ঝুঁকি সত্ত্বেও ঐন্দ্রিলাকে আগলেছেন ওঁরা, কলকাতার দুই ডাক্তারকে কুর্নিশ সব্যসাচীর
সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলা। ইনসেটে বাঁ দিকে অমিতাভ চক্রবর্তী ও ডান দিকে সুমন মল্লিক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2021 | 3:06 PM

অস্ত্রোপচারে জীবনের ঝুঁকি ছিল ঐন্দ্রিলা শর্মার। ক্যানসারাস টিউমারটির অবস্থান ছিল হৃদযন্ত্রের একেবারে লাগোয়া। কিন্তু ওই জটিল অস্ত্রোপচারকেই সফলতা দিয়েছেন যে, যাঁরা, বিশ্ব চিকিৎসক দিবসে তাঁদের কুর্নিশ প্রেমিক সব্যসাচীর। কুর্নিশ জানাচ্ছেন আর এক ডাক্তার উত্তম শর্মাকেও, যিনি সম্পর্কে ঐন্দ্রিলার বাবা, সব্যসাচীর ভাবী শ্বশুর।

দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই। চলেছে কেমো, এখনও চলছে। ফুসফুসে হওয়া টিউমারটির জন্য কেমো যথেষ্ট ছিল না। দরকার ছিল অস্ত্রোপচারের। রিস্ক ছিল। সে কথা জানতেন ঐন্দ্রিলা নিজেও। ডাক্তারও লুকোছাপা করেননি। বিশ্ব চিকিৎসক দিবসে সব্যসাচী লিখছেন, “ঐন্দ্রিলার টিউমারটি হার্টের সাথে লেগে থাকায় অস্ত্রোপচার করা এতটাই জটিল ছিল যে আমরা প্রথমে দিল্লি, মুম্বই ছাড়াও বোস্টন এবং লন্ডনে যোগাযোগ করেছিলাম। তবে অতিমারীর প্রকোপে এবং ওর শারীরিক অবনতির কথা ভেবে কোনোটাই সম্ভবপর হয়নি।” হাল ধরেন ডাক্তার অমিতাভ চক্রবর্তী। সব্যসাচী আরও লিখছেন, “দীর্ঘ বোর্ড মিটিংয়ের পর অমিতাভবাবু এবং ওনার টিম সদ্ধান্ত নেন তিনি ঝুঁকি নিয়ে এই অস্ত্রোপচার করবেন। ওকে সামনে বসিয়ে পরিষ্কার বলেন, “এতে তোমার লাইফ রিস্ক আছে। তোমার জীবন, তুমি সিদ্ধান্ত নাও”। ঐন্দ্রিলা এককথায় বলে, “আমি রাজি”। প্রায় ৭ ঘন্টা রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের OT র সামনে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, অমিতাভবাবু হাসিমুখে দরজা খুলে আমায় বলেন, “দেখে যাও কী করেছি”। সহজ ছিল না, সহজ করেছেন যে মানুষটি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ সব্যসাচী।

আরও পড়ুন- National Doctor’s Day: মিস্টার এন্ড মিসেস মুন্নাভাই ভাইরাল


এমনই আর একজনের কাছেও কৃতজ্ঞ তিনি, তিনি সুমন মল্লিক। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত তিনি। রেডিয়েশনের এবং কেমোথেরাপির দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। প্রথমবার যখন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা তাঁর অধীনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হয়ে গিয়েছিলেন সুস্থ। ফিরে আসা ক্যানসারের দায়িত্বও ছিল তাঁর হাতেই। সব্যসাচী লিখছেন, “সুমনবাবুর সাথে তার বাবা-মেয়ের তুইতোকারি সম্পর্ক। আমায় বহুবার বলেছে ডাক্তার মল্লিকের মুখটা দেখলেই শান্তি, মনে হয় নিজের মানুষ।” আগামী বেশ কিছু মাস সুমন মল্লিকের অধীনেই চিকিৎসা চলছে ঐন্দ্রিলার। বিপদ মেঘ কেটেছে অনেকটাই। মনের জোর আর সুচিকিৎসাকে হাতিয়ার করে তাঁর প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় অনুরাগীরা।