Rahul-Rooqma: রুকমার পাশে রাহুল, নায়িকার অপমানে গর্জে উঠলেন অভিনেতা
Rahul-Rooqma: খানাকুলে শো করতে গিয়ে অপমানিত হতে হয়েছে অভিনেত্রী রুকমা রায়কে। মঞ্চে থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছে। তাঁর অপরাধ, ভক্তদের আবদার মেনে তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন তিনি। কী হয়েছিল সে রাতে? তা টিভিনাইন বাংলার কাছে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন রুকমা। সবটা শোনার পর নায়িকার পাশে দাঁড়ালেন ভাল বন্ধু ও সহকর্মী রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
খানাকুলে শো করতে গিয়ে অপমানিত হতে হয়েছে অভিনেত্রী রুকমা রায়কে। মঞ্চে থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছে। তাঁর অপরাধ, ভক্তদের আবদার মেনে তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন তিনি। কী হয়েছিল সে রাতে? তা টিভিনাইন বাংলার কাছে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন রুকমা। সবটা শোনার পর নায়িকার পাশে দাঁড়ালেন ভাল বন্ধু ও সহকর্মী রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রুকমার হয়ে তিনি বলেন, “এই মানুষটা বছরে ১০০টা শো করে, কোনওদিন কেউ বলতে পারবে না, এক মুহূর্তের জন্য অপেশাদার হয়েছে, ও খুব ভালবেসে কাজ করে, যে কাজটাই করে নিজেকে সমর্পণ করে। তাই ওর মতো গায়িকাকে শো’তে ডাকা মানে ভরপুর মনোরঞ্জন। ওর সঙ্গে এটা হলে বাকিরা কী করবে?” প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছিল রুকমা ওই শো-য়ে দেরি করে যাওয়াতেই নাকি শো’র উদ্যোক্তারা তাঁর উপর রেগে যান। সত্যিই কি তাই? টিভিনাইন বাংলাকে নায়িকা যা বলেছিলেন তা তুলে ধরা হল…
রুকমা: “আমি খানাকুলে একটি শো করতে যাই। আমাকে ১১টার মধ্যে যেতে বলা হয়। ১১টায় আমি পৌঁছতে পারিনি। আমার যেতে আধ ঘণ্টা দেরি হয়। জায়গাটা অনেকটা দূর। তাই একটু সময় বেশি লাগে। যেখান অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল তার প্রায় এক কিলোমিটার আগে আমাদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলা হয়, ‘আর গাড়ি যাবে না’। অনেক অলিগলি। আমাদের হেঁটে যেতে বলা হয়। অত লোকের মধ্যে হেঁটে ঢোকা আমার পক্ষে খুব একটা নিরাপদ ছিল না বলেই আমি মনে করি। আমরা ওঁদের বলি, ছোট গাড়ি নিদেনপক্ষে একটা টোটোরও যদি ব্যবস্থা করা হয়, খুব ভাল হয়। কারণ যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চ তো দূর, আলোকসজ্জাও চোখে পড়েনি। কত দূর, কতটা হাঁটতে হবে, এই সব না বুঝে কী করে হাঁটা শুরু করব? যিনি অপমান করেছেন, এরপর তিনিই তাঁর বাইকটি নিয়ে এসে আমাকে তাঁর বাইকে উঠে অনুষ্ঠানের জায়গায় যেতে বলেন। আমি তাঁকে চিনি না ব্যক্তিগত ভাবে। তাই সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হইনি। যাই হোক, অনুষ্ঠান আসরে যাই। শুরু হয়। দর্শকরাও বেশ উপভোগ করছিলেন।
আমার কাছে সেলফিরও অনুরোধও আসতে থাকে। অনেক বার অনুরোধের পর আমি ভিড়ের মধ্যে একজনের ফোন থেকে সেলফি তুলে সকলের সঙ্গে। এবং বলেও দিই ‘একজনের ফোনেও কিন্তু তুলব সেলফি’। এর পরেই ওই ব্যক্তি আমার উপর চড়াও হন। আমাকে রীতিমতো মঞ্চে মাইক ধরে অপমান করতে থাকেন। যেই স্টেজ থেকে সরাসরি নেমে যেতে বলেন, আমি আর মঞ্চে থাকিনি। নেমে যাই। না, আমি অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে আসিনি। যারা আমায় ভালবাসেন, তাঁদের কথা ভেবেই আমি ব্যাকস্টেজে প্রায় কুড়ি মিনিট বসে থাকি। আমি বাকিদের বলি যিনি আমাকে এভাবে অপমান করেছেন তাঁকে আমাকে একবার এসে ক্ষমা চাইতে হবে। এই দাবি করা নিশ্চয়ই অপরাধ নয়? উনি ক্ষমা চাননি। বরং বলতে থাকেন, “সরি কিছুতেই বলব না। গেলে চলে যাক। আমার সিঙ্গার আছে। তাঁকে দিয়ে গাইয়ে নেব”। বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমি ও আমার টিম অবশেষে ওখান থেকে বেরিয়ে যাই। যা বলা হচ্ছে, আমি দু ‘ঘণ্টা দেরি করে এসেছি, তা সত্য নয়। বরং আমি যেভাবে অপমানিত হয়েছি ওইদিন তা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার নেই।” ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছেন রুকমা, কী পদক্ষেপ করা হয় এখন সেটাই দেখার।