নতুন উদ্যোগকে ‘ফালতু’ বলে ট্রোলিং, কী ভাবে সামলালেন সুদীপা?

Sudipa Chatterjee: সুদীপা তাঁর নতুন উদ্যোগের জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও ট্রোলিং তাঁর পিছু ছাড়েনি।

নতুন উদ্যোগকে ‘ফালতু’ বলে ট্রোলিং, কী ভাবে সামলালেন সুদীপা?
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2021 | 8:48 PM

‘ব্র্যান্ড সুদীপা চট্টোপাধ্যায়’ আসছে। এই ঘোষণা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছিলেন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেনারস থেকে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সেই খবরে আনুষ্ঠানিক শিলমোহর দিলেন তিনি।

সুদীপার কথায়, “সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অগস্টেই খুলে যাবে ‘ব্র্যান্ড সুদীপা চট্টোপাধ্যায়’ স্টোর। সকলে এসে দেখে কিনতে পারবেন। বেনারসি, টাঙ্গাইল, ঢাকাই শাড়ি দিয়ে আপাতত শুরু করছি। বিভিন্ন প্রদেশের গয়না থাকবে। ভাল ঘি, আচার থাকবে। সবই হ্যান্ডলুম।”

নিজস্ব তাঁতিদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সুবিধে, অসুবিধে নিয়ে আলোচনা করতে বেনারসে গিয়েছেন সুদীপা। তাঁর নতুন উদ্যোগের জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও ট্রোলিং তাঁর পিছু ছাড়েনি।

এ দিনই ফেসবুকে অনুষ্কা শর্মা এবং বিরাট কোহলির রিসেপশনের একটি ছবি ভিডিয়ো আকারে পোস্ট করেন সুদীপা। তিনি লিখেছেন, ‘বিখ্যাত অনুষ্কা শর্ম ওয়েডিং শাড়ি আমি অনেক খুঁজেছি। বেশিরভাগ শাড়িই ভুয়ো। শেষ পর্যন্ত আমার কারিগরদের দিয়ে ওই রকম শাড়ি দুটো তৈরি করতে পেরেছি। যাঁরা কিনতে চাইবেন, তাঁরা নির্দিষ্ট নম্বরে দ্রুত হোয়াটস্অ্যাপ করুন।’ সুদীপা জানিয়েছেন, স্ক্রিনশট দিয়ে বুক করতে হবে। কিন্তু এই শাড়ি দামি। ফলে যাঁরা সত্যিই আগ্রহী, তাঁদের যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন। এর পরেই শুরু হয় ট্রোলিং।

জনৈক সঙ্ঘমিত্রা রায়চৌধুরি নামে এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার লেখেন, ‘অনুষ্কা শর্মার শাড়ি কোন শর্মা পরবে? আর ক’জনের হাতে এখন এত অপর্যাপ্ত টাকা আছে যে কয়েক লাখ টাকার শাড়ি পড়বে? ফালতু।’ এর উত্তরে সুদীপা লেখেন, ‘অনুষ্কার শাড়িটি সোনা দিয়ে তৈরি,আর এটি যাতে সবাই পরতে পারে- তাই বানিয়েছি- সত্যিকারের জরি দিয়ে। সোনার জলে মোড়ানো জরি। দামও তাই অনেক কম।’ একদিকে যেমন কটূ কথা শুনতে হয়েছে সুদীপাকে, অন্যদিকে পারমিতা দত্ত বিশ্বাস, দেবযানী ভদ্র বিশ্বাস, পৌষালি রায়, দ্বিতীশা দত্ত, ঈশিতা দত্ত, চন্দ্রিমা নাগ, পূজা দে-র মতো বহু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার সুদীপার পক্ষে কথা বলেছেন।

Sudipa-Post

সুদীপার ফেসবুকের পোস্টের বিভিন্ন কমেন্টের স্ক্রিন শট।

ট্রোলিংয়ের ক্ষেত্রে সুদীপা নিজে চুপ থাকাটাই শ্রেয় বলে মনে করেন। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় TV9 বাংলাকে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সহ্য ক্ষমতাটা অসীম ধরে নিতে হবে। আমরা কোনও উত্তর দিতে পারব না। চুপ করে থাকতে হবে। ইগনোর করা ছাড়া উপায় নেই। সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরকেও ট্রোল করতে ছাড়ছে না। এরাই আবার ওই মানুষটিকে পরের দিন রাস্তায় দেখলে সেলফি তুলতে চাইবেন। ট্রোলিং নিয়ে এত বাড়াবাড়ি হচ্ছে, ডিস্টার্ব লাগে। মানুষ এত অসহিষ্ণু হয়ে গিয়েছেন…।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মাত্রাছাড়া ট্রোলিং কেন হয়? কী মনে হয় সুদীপার? তিনি ব্যখ্যা করেছিলেন, “মানুষকে না পাওয়ার যন্ত্রণা এমন করে দিয়েছে, মান আর হুঁশটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। আমার মতে, এরা অ্যাটেনশন সিকার। আমি উত্তর দিলে, নিজস্ব পরিসরে বলবেন, ‘দেখ, সুদীপাকে কেমন দিলাম, উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে’। ফলে ওঁর পপুলারিটি বাড়বে। আমার করুণা হয় এদের জন্য।”

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকেই হাতের নাগালে পাওয়া যায় বলে যা খুশি বলা যায় না, এ শিক্ষাটা বোধহয় হারিয়ে যাচ্ছে। এমনটাই মনে করেন সমাজের একটা বড় অংশ। সংযত ভাবে ট্রোলিং সামলান সুদীপা। সে কারণেই হয়তো ধীরে ধীরে তাঁকে সমর্থন করার, তাঁর পাশে থাকার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক না থাকলেও তাঁরাই সুদীপার হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন।

আরও পড়ুন, বয়স কত? শ্রীলেখার উত্তর, ‘এজ নো বার, কাস্ট নো বার, আর ….’