Sreelekha Mitra: জুরিখ থেকে ফিরে আর দেখা হয়নি বাবার সঙ্গে, এ আক্ষেপ নিয়েই পথ চলতে হবে শ্রীলেখাকে
খোলা চিঠিতে শ্রীলেখা লিখেছেন, "আমি কিন্তু সান্তনা নয়, সমাধান চাই... এ যেন নিজেই নিজে লিখছি।"
“বাবা ২৭শে নয়, ২৫শে বিকেলে বেড়াতে যাবে বলে রেডি হচ্ছিল। তখনই কিছু মুহূর্তের মধ্যে কার্ডয়্যাক অ্যারেস্ট হয়। বাবা চলে যান। বাবার চলে যাওয়ার দু’দিন পর ২৭শে আমি পোস্ট করেছি ‘আমার বাবা’। আজকে কত তারিখ? সব যেন সারিয়াল লাগছে আমার। ফিরে এসে দেখা হল না বাবার সঙ্গে। এই আক্ষেপ আমার সারাজীবন থাকবে। এতকিছু না জানালেও হয়তো হয় ফেসবুকে। সবাই ব্যস্ত। বারবার সান্তনা দেওয়ার কার সময় আছে। বুঝি। তাও লিখছি। আমি কিন্তু সান্তনা নয়, সমাধান চাই… এ যেন নিজেই নিজে লিখছি। অনেকে ফোন করেছ, করছেন। বন্ধু সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এসেছিল একপ্রকার জোর করেই। ওকে না করা যায় না। ও শোনে না। সুন্দর গান শুনিয়ে আমায় বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কৌনাল বন্দ্যোপাধ্যায়, শুক্লা বি হাজরা তোমরা আমার বন্ধু না আত্মীয় জানি না। হয়তো কোনও জন্মের ঋণ ছিল তোমাদের প্রতি। সারাক্ষণ খেয়াল রাখছ আমার, এও আমার অনেক পাওয়া। আর আমার ফেসবুকের কিছু সত্যিকারের বন্ধুরা যাঁদের সঙ্গে আমার চাক্ষুষ আলাপটাও হয়নি, তোমরা জানো আমি তোমাদেরই কথা বলছি, থেকো যেমন ভাবে আছো। যে কোনও পরিস্থিতিতে বোঝাও যেমন, থেকো, বড় ভরসা পাই… অনেকে ফোন করেছ আমি ধরিনি। কথা বলার অবস্থায় এখনও নেই… সবাইকে কী বলতে হয় এসময়? ধন্যবাদ, আর সরি কথা বলিনি বলে। ভাল লাগছে না কিছুই। আমার ভাই সমীক মিত্র, ভাইয়ের বউ আমাদের বউমা সোনিয়া মিত্র (বাবার সঙ্গে হেব্বি দোস্তি ছিল), ওদের ছেলে আমার ভাইপো জিকো মিত্র, আমার মেয়ে ঐশির (মাইয়া) হয়ে প্রণাম সকলকে।”