অপরাজিতার জীবনের এই দুই আফসোস সারাজীবন রয়ে যাবে!
রবিবার ছিল বাবাদের দিন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সবাই যখন বাবার সঙ্গে একের পর এক ছবি শেয়ার করছেন, ছবি শেয়ার করেছিলেন অপরাজিতাও।
অপরাজিতা আঢ্য। ছোট পর্দা পেরিয়ে বড় পর্দাতেও অভিনয় দক্ষতার জেরে রাজত্ব করেছেন তিনি। খ্যাতি, অর্থ পেয়েছেন দুই-ই। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনের এই দুই আফসোস কোনওদিনও পূরণ হবে না তাঁর। কোন দুই আফসোস?
রবিবার ছিল বাবাদের দিন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সবাই যখন বাবার সঙ্গে একের পর এক ছবি শেয়ার করছেন, ছবি শেয়ার করেছিলেন অপরাজিতাও। বাবার কোলে চাপা সেই সাদা-কালো ছবি অভিনেত্রী নিতান্তই ছোটবেলার। কিন্তু এটা ছাড়া বাবার সঙ্গে তাঁর যে আর কোনও ছবিও নেই। অপরাজিতা লিখছেন, “তখন তো এত ছবি তোলার চল ছিল না ছবি তোলা মনে একটা উৎসব। আরমধ্যবিত্ত দের সবার বাড়িতে ক্যামেরা থাকতো ও না। এটা আমার পাঁচ বছরের জন্মদিনে তোলা ছবি “। তাঁর যখন ১৫, বাবাকে হারান তিনি। মেয়ের বড় হয়ে ওঠা, নাম, খ্যাতি কিছুই দেখে যেতে পারেননি তিনি।
View this post on Instagram
সেই কথা টেনে এনেই নস্টালজিক অপরাজিতা। বললেন, “আমার জীবনে কোনো আফশোস নেই দু টো ছাড়া এক আমার কিছুই আমার বাবা দেখে গেলেন না আর এই ছবিটা ছাড়া আমার বাবার সথে কোনো ছবি নেই।” তাই বাবা দিবসে অপরাজিতা উপলব্ধি- জীবন বড় অদ্ভুত। এখন তিনি অভিনেত্রী, তাঁর জীবন জুড়েই ছবি, কিন্তু সেই ছবিতে বাবার সঙ্গে নতুন করে ছবি তোলার সুযোগ নেই তাঁর। অপরাজিতা লিখছেন, “একসঙ্গে সব কিছু ঠিক দিতে যে ঈশ্বর এর কোথায় অসুবিধে আজও বুঝলাম না l”
আরও পড়ুন: শ্রীময়ী গাড়ির দরজা আটকাল, আমার বাচ্চাটা তখন কাটা ছাগলের মতো ভয়ে কাঁপছে: পিঙ্কি
অপরাজিতা ওই পোস্টের সঙ্গে নিজেদেরও একাত্ম করতে পেরেছেন তাঁর অগণিত ভক্তমহল। সদ্য পিতৃহারা এক তরুণী লিখেছেন, “সত্যিই দিদি, তোমার লেখা পড়ে আবারও ফিরে গেলাম ছোটবেলায়। এক মুহূর্তে জ্বলন্ত হয়ে উঠল বাবার সঙ্গে কাটানো ওই সব সোনালি দিনগুলো।”